‘রাজধানীর ৯৫ ভাগ বাসায় অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা নেই’

অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র (ছবি: সংগৃহীত)রাজধানীর ৯৫ ভাগ বাসায় অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা নেই। নগরীর শতকরা ১ শতাংশ বাসাবাড়িতে অগ্নিনির্বাপক সরঞ্জাম রয়েছে। আর ৭৭ শতাংশ মানুষ প্রাকৃতিক দুর্যোগ সম্পর্কে কিছুটা জানে। কিন্তু গবেষণার ৭১ শতাংশ মানুষই বলছেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ অর্থাৎ ভূমিকম্পের সময় খালি জায়গার অভাববোধ করেন তারা।
‘নগর পরিস্থিতি ২০১৭: ঢাকা মহানগরীর আবাসন’ শীর্ষক এক গবেষণায় এসব তথ্য উঠে এসেছে। এটি পরিচালনা করেছে বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিআইডিজি)।রবিবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মহাখালীতে এই সংস্থার নিজস্ব কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়। পুরান ঢাকা, মিরপুর, রামপুরা ও বাড্ডার ৪০১টি বাড়িতে জরিপ চালিয়ে এমন চিত্র মিলেছে।
গবেষণা প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, ঢাকায় বসবাসরত মানুষের আয়ের ৪৪ ভাগ অর্থ খরচ হচ্ছে বাসা ভাড়ায়। অথচ একটি আদর্শ শহরে সাধারণত বাসা ভাড়ায় যায় আয়ের ২৫-৩০ ভাগ অর্থ। বাসাভাড়ার উচ্চমূল্যের কারণে বেশিরভাগ মানুষই নিজেদের অন্যান্য চাহিদা পূরণে হিমশিম খাচ্ছেন।
ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঢাকা শহরে বসবাসরত ৬৮ ভাগ মানুষ ভাড়া বাসায় থাকে। আর ৩২ ভাগ মানুষের নিজের বাসস্থান আছে। এর মধ্যে ৫৫ ভাগ মানুষের চাহিদা সর্বোচ্চ এক হাজার বর্গফুটের বাসার। আর ৫ ভাগ মানুষের চাহিদা দুই হাজার বর্গফুট বা তার চেয়ে বেশি জায়গার বাসার। সঙ্গতি না থাকায় ঢাকা শহরে বসবাসরত ৬৮ ভাগ লোক রাজধানীতে নিজস্ব আবাসন কেনার কথা ভাবেন না। তাদের নিজস্ব আবাসন নিশ্চিত করতে নীতিগত সুবিধা সৃষ্টির সুপারিশ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
এছাড়া গবেষণা প্রতিবেদনে রাজধানীর ওপর চাপ কমানোর জোর সুপারিশ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে ঢাকার কাছাকাছি উপশহর গড়ে তুলে ট্রেন, মেট্রো রেল, সড়কসহ আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থা রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যারা ঢাকা শহরে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন, তাদের জন্য উন্নত পরিবেশ নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্টদের যথাযথ দায়িত্ব পালনের সুপারিশ করা হয়েছে। আর নীতি ও সহায়তা থাকার পরও যেসবের বাস্তবায়ন নেই, সেগুলোর যথাযথ বাস্তবায়ন করারও জোর তাগিদ দেওয়া হয়েছে গবেষণা প্রতিবেদনে।

অনুষ্ঠানে প্রতিবেদনের বিভিন্ন বিষয় ব্যাখ্যা করেন বিআইডিজির নির্বাহী পরিচালক ড. সুলতান হাফিজ রহমান। এখানে আরও ছিলেন বিআইডিজির গবেষক দলনেতা সৈয়দ সেলিনা আজিজ, সিনিয়র রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট সিরাজুল ইসলাম, রিসার্চ ফেলো ড. শাহনেওয়াজ হোসাইন প্রমুখ।