শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) সকালে অনশনের ষষ্ঠ দিনে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গিয়ে সরজমিনে দেখা যায়, কম্বল কিংবা চাদর জড়িয়ে রাস্তায় অবস্থান করছেন শিক্ষকরা। তাদের মধ্যে অনেকেই ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। অনশনের শারীরিক দুর্বলতার সঙ্গে ঠাণ্ডা, জ্বর আর শ্বাসকষ্টের মতো রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকেই।
আন্দোলনরত শিক্ষকরা জানান, এমপিওভুক্তির দাবিতে পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে আন্দোলন করে আসছেন তারা। এই পাঁচ বছরে তারা অনশন করেছেন, অবস্থান ধর্মঘট করেছেন, শিক্ষামন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রী বরাবর একাধিকবার স্মারকলিপি দিয়েছেন। কিন্তু তাদের এমপিওভুক্তির দাবি পূরণ হয়নি। গত দুই অর্থবছরের বাজেটেও তাদের এমপিওভুক্তি বা বাড়তি ভাতার জন্য কোনও বরাদ্দ রাখা হয়নি। তাই গত ২৬ ডিসেম্বর থেকে তারা ফের নেমেছেন রাজপথে। এর মধ্যে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ তাদের ঘরে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানালেও তা প্রত্যাখ্যান করে তারা ৩১ ডিসেম্বর থেকে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করছেন। আন্দোলনরত শিক্ষকরা বলছেন, এবারে এমপিওভুক্তির সুনির্দিষ্ট ঘোষণা ছাড়া তারা রাজপথ ছাড়বেন না। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।
আরও পড়ুন-
‘মেয়ে ফোন করে বলে, বাবা বাড়ি ফিরে আসো, টাকার দরকার নেই’