পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ আইন বাতিলে আপিল শুনানি ২৩ জানুয়ারি

সুপ্রিম কোর্ট

পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ আইন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিলের ওপর শুনানি আগামী ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত মুলতবি করেছেন আপিল বিভাগ।

মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) এক আবেদনের শুনানি নিয়ে দায়িত্বরত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞার নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালতে রিটকারী মো. বদিউজ্জামানের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এজে মোহাম্মদ আলী। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল প্রতিকার চাকমা।

এর আগে ২০১০ সালের ১২ ও ১৩ এপ্রিল বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ আইন বাতিল করে রায় দেন।

শান্তিচুক্তির পর প্রণীত পার্বত্য আঞ্চলিক পরিষদ আইন অসাংবিধানিক বলে রায় দেন হাইকোর্ট। তবে ওই রায়ে পার্বত্য শান্তিচুক্তিকে বৈধ ঘোষণা করা হয়।

পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ আইন, ১৯৯৮-এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০০০ সালে রাঙামাটির বাঙালি অধিবাসী মো. বদিউজ্জামান হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করেন। পরে ২০০৭ সালে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. তাজুল ইসলাম শান্তিচুক্তির বৈধতা নিয়ে আরেকটি রিট আবেদন করেন।

বদিউজ্জামানের রিট আবেদনের পর হাইকোর্ট পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ আইনকে কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন।

অন্যদিকে, তাজুল ইসলামের রিট আবেদনে পার্বত্য শান্তিচুক্তি কেন বাতিল করা হবে না, তা সরকারের কাছে  জানতে চান হাইকোর্ট। এই রিটের শুনানিতে অ্যামিকাস কিউরি (আদালতের বন্ধু) হিসেবে আইনজীবী টি এইচ খান ও ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদের বক্তব্য গ্রহণ করেন আদালত। রিট আবেদনকারীদের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক ও তাজুল ইসলাম। 

এরপর ২০১১ সালের ৩ মার্চ হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি) গ্রহণ করেন আপিল বিভাগ।