সাইবার অপরাধ দমনে বিশেষায়িত পুলিশ ইউনিটকে স্বাগত টিআইবির

টিআইবিসাইবার অপরাধ প্রতিরোধে নজরদারির জন্য বিশেষ সফটওয়্যার সমৃদ্ধ বিশেষায়িত পুলিশ ইউনিট গঠনের উদ্যোগকে সময়োপযোগী ও অপরিহার্য বলে মন্তব্য করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। তবে এ ধরনের নজরদারির অপব্যবহার হলে জনগণের বাক ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব হওয়ার ঝুঁকি সৃষ্টি হতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।   

বৃহস্পতিবার টিআইবি থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়। এতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধে কার্যকর নজরদারি অপরিহার্য। তবে নজরদারিতে নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের প্রয়োজনীয় প্রযুক্তিগত দক্ষতা, সততা, পেশাদারিত্ব ও নিরপেক্ষতার ঘাটতি থাকলে এ ধরনের নজরদারির মাধ্যমে সংবিধান প্রদত্ত জনগণের বাকস্বাধীনতা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। বিশেষ করে এ ধরনের ইউনিট যদি রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক প্রভাবমুক্ত হয়ে অনিয়ম-দুর্নীতির ঊর্ধ্বে থেকে বস্তুনিষ্ঠতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনে সক্ষম না হয় তাহলে এই নজরদারি ঝুঁকিপূর্ণ ও আত্মঘাতী হতে পারে।’

ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, ‘তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারার কারণে বাকস্বাধীনতা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা ইতোমধ্যে সংকুচিত হয়েছে, যার স্বীকৃতিস্বরূপ আইনমন্ত্রী ও তথ্যমন্ত্রী ওই ধারা বাতিলের ঘোষণা দিয়েছেন। সে প্রতিশ্রুতি অবিলম্বে পূরণ করতে হবে। একইসঙ্গে উল্লিখিত প্রযুক্তিনির্ভর বিশেষায়িত ইউনিটের কার্যক্রম শুরুর আগে এর সুনির্দিষ্ট বিধিমালা প্রণয়ন, বিশেষ করে অর্পিত ক্ষমতা ব্যবহারের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষতা, বস্তুনিষ্ঠতা ও পেশাদারিত্ব নিশ্চিতের জন্য কঠোর পরিবীক্ষণ, অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ ও জবাবদিহিতার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। বিধিমালা প্রণয়ন প্রক্রিয়ায় সংশ্লিষ্ট খাতের বিশেষজ্ঞ ও অংশীজনদের সম্পৃক্ত করতে হবে।’ এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করাও অপরিহার্য মনে করছে টিআইবি।