ব্যাংকে নিয়োগ পরীক্ষা: মিরপুরে ক্ষুব্ধ পরীক্ষার্থীদের সড়কে অবস্থান

মিরপুরে সড়কে বিক্ষোভ পরীক্ষার্থীদেরআসন না থাকায় ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিতে না পারা ক্ষুব্ধ চাকরিপ্রার্থীরা হযরত শাহ আলী মহিলা কলেজ কেন্দ্রের সামনের সড়কে অবস্থান নিয়েছেন। বিকাল ৫টার দিকে তারা সড়কে অবস্থান নিলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ ঘটনায় স্থানীয় সংসদ সদস্য আসলামুল হক এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের জিএম ও ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির (বিএসসি) সদস্য সচিব মোশাররফ হোসেন খান পরীক্ষার্থীদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। পরীক্ষার্থীদের অভিযোগ, বৈঠক চলাকালে এমপির সঙ্গীরা তাদের মারধর করে কলেজ থেকে হটিয়ে দিয়েছে।   

সরকারি আট ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ‘সিনিয়র অফিসার (সাধারণ)’ পদে নিয়োগ পরীক্ষার একটি কেন্দ্র ছিল ওই কলেজ। আসন দিতে না পারায় পরীক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে পরীক্ষা স্থগিত করেন কলেজের অধ্যক্ষ ময়েজ উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘আমার কলেজ বাঁচাইতে হবে। পরীক্ষা স্থগিত করা হলো। ব্যাংক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করেছি। তারা আসছেন। পরবর্তী সিদ্ধান্ত তারাই জানাবেন।’

এই কেন্দ্রে আট হাজার ৪৬৭ জনের পরীক্ষা নেওয়ার জন্য নির্ধারিত ছিল। কিন্তু কলেজ কর্তৃপক্ষ পর্যাপ্ত আসনের ব্যবস্থা না রাখায় বিক্ষোভ শুরু করেন পরীক্ষার্থীরা। পরীক্ষায় না বসে তারা সবাই কলেজের মাঠে অবস্থান নেন। এক পর্যায়ে তারা কলেজ ভবনের জানালা ভাঙচুর করেন। পরীক্ষার্থীদের কয়েকজন জানান, ৪০-৫০ জনের রুমে ১০০-১৫০ জনের বসার ব্যবস্থা করা হয়। তারপরও সবাইকে আসন দিতে পারেনি কলেজ কর্তৃপক্ষ। এরপর ক্ষুব্ধ পরীক্ষার্থীরা কলেজের জানালা-দরজা ভাঙচুর করেন।

শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৩টা থেকে সাড়ে ৪টার পর্যন্ত পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল।

কলেজের ভেতরে বিক্ষোভপরীক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করলে সেখানে ৫টার দিকে সেখানে উপস্থিত হন আসলামুল হক এমপি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের জিএম মোশাররফ হোসেন খান। তারা আগামী শুক্রবার পরীক্ষা নেওয়ার আশ্বাস দিলেও পরীক্ষার্থীরা তা শুনেননি। তাদের দাবি আগামী শুক্রবার অন্য পরীক্ষা রয়েছে। তারা এ পরীক্ষা স্থগিতের ঘোষণা ওয়েবসাইটে প্রকাশের দাবি জানান। এ সময় এমপি আসলামুল হককে পরীক্ষার্থীদের প্রতি মারমুখী আচরণ করতে দেখা যায়। এক পর্যায়ে এমপি এবং জিএম পরীক্ষার্থীদের ৫ জন প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠকে বসেন।

এরইমধ্যে পরীক্ষার্থীরা সামনের সড়কে অবস্থান নিলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। কয়েকজন পরীক্ষার্থী অভিযোগ করেন, এমপির সঙ্গীরা পরীক্ষার্থীদের মারধর করে কলেজ থেকে বের করে দিয়েছে। ধাওয়া দিয়ে ২০ মিনিটের মধ্যে কলেজ প্রাঙ্গণ খালি করে ফেলে তারা। কলেজের সামনেও দাঁড়াতে দেওয়া হচ্ছে না।