সরকারি আট ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ‘সিনিয়র অফিসার (সাধারণ)’ পদে নিয়োগ পরীক্ষার একটি কেন্দ্র ছিল ওই কলেজ। আসন দিতে না পারায় পরীক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে পরীক্ষা স্থগিত করেন কলেজের অধ্যক্ষ ময়েজ উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘আমার কলেজ বাঁচাইতে হবে। পরীক্ষা স্থগিত করা হলো। ব্যাংক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করেছি। তারা আসছেন। পরবর্তী সিদ্ধান্ত তারাই জানাবেন।’
এই কেন্দ্রে আট হাজার ৪৬৭ জনের পরীক্ষা নেওয়ার জন্য নির্ধারিত ছিল। কিন্তু কলেজ কর্তৃপক্ষ পর্যাপ্ত আসনের ব্যবস্থা না রাখায় বিক্ষোভ শুরু করেন পরীক্ষার্থীরা। পরীক্ষায় না বসে তারা সবাই কলেজের মাঠে অবস্থান নেন। এক পর্যায়ে তারা কলেজ ভবনের জানালা ভাঙচুর করেন। পরীক্ষার্থীদের কয়েকজন জানান, ৪০-৫০ জনের রুমে ১০০-১৫০ জনের বসার ব্যবস্থা করা হয়। তারপরও সবাইকে আসন দিতে পারেনি কলেজ কর্তৃপক্ষ। এরপর ক্ষুব্ধ পরীক্ষার্থীরা কলেজের জানালা-দরজা ভাঙচুর করেন।
শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৩টা থেকে সাড়ে ৪টার পর্যন্ত পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল।
এরইমধ্যে পরীক্ষার্থীরা সামনের সড়কে অবস্থান নিলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। কয়েকজন পরীক্ষার্থী অভিযোগ করেন, এমপির সঙ্গীরা পরীক্ষার্থীদের মারধর করে কলেজ থেকে বের করে দিয়েছে। ধাওয়া দিয়ে ২০ মিনিটের মধ্যে কলেজ প্রাঙ্গণ খালি করে ফেলে তারা। কলেজের সামনেও দাঁড়াতে দেওয়া হচ্ছে না।