এর আগে জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে গত বছরের ৫ নভেম্বর রাজধানীর লেকহেড গ্রামার স্কুলের গুলশান ও ধানমন্ডির দু’টি শাখা বন্ধের নির্দেশ দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ। যুগ্ম-সচিব সালমা জাহান স্বাক্ষরিত ওই নির্দেশে বলা হয়েছিল, লেকহেড প্রতিষ্ঠানটি মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন না থাকা এবং ধর্মীয় উগ্রবাদ, উগ্রবাদী সংগঠন সৃষ্টি, জঙ্গি কার্যক্রমের পৃষ্ঠপোষকতাসহ স্বাধীনতার চেতনাবিরোধী কর্মকাণ্ডে যুক্ত। প্রতিষ্ঠানটির সব কার্যক্রম বন্ধ করার নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
এই নির্দেশের পর ৭ নভেম্বর ঢাকা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইলিয়াস মেহেদী স্কুলটির দু’টি শাখা বন্ধ করে দেন। পরে গত ৯ নভেম্বর লেকহেড স্কুলের দুটি শাখা বন্ধের নোটিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে স্কুলের মালিক খালেদ হাসান মতিন ও ১২ জন শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের পক্ষে দু’টি রিট দায়ের করা হয়। ওই রিটের পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট স্কুলটি খুলে দেওয়ার আদেশ দেন। কিন্তু পরে আবারও তা স্থগিত করে দেয় হাইকোর্ট।
পরে আবারও আদালতের এক আদেশের পর ঢাকা জেলা প্রশাসককে (ডিসি) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ বুধবার (১০ জানুয়ারি) স্কুলটি খুলে দেওয়ার নির্দেশ দেয়।
প্রধান প্রশাসনিক কর্মকর্তা আসিফ ইশতিয়াক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন,‘ গত শুক্রবার ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে একজন ম্যাজিস্ট্রেট এসে স্কুলটি খুলে দিয়েছেন। আমরা গত শনিবার থেকেই স্কুলটি খোলা রেখেছি। আজও (রবিবার) খোলা রয়েছে। ইতোমধ্যে আমরা সব শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মেসেজ করে জানাবো খোলার খবর। আশা করছি,আগামী মঙ্গলবার থেকে আবারও পুরোপুরিভাবে স্কুলে ক্লাস শুরু হবে।