রানা প্লাজা ধসের মামলায় পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণ ১ মার্চ

ধসের পর রানা প্লাজা (ফাইল ছবি) ঢাকার সাভারে রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় ইমারত আইনে দায়ের মামলায় ভবনটির মালিক সোহেল রানাসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে আগামী ১ মার্চ  সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেছেন আদালত। সোমবার (১৫ জানুয়ারি) ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমান এ আদেশ দেন।

আদালতের বেঞ্চ সহকারী মামুন এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘মামলাটি উচ্চ আদালতের আদেশে স্থগিত রয়েছে বলে সময়ের আবেদন করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। আদালত আবেদন মঞ্জুর করেন।’

মামলার এজহার  থেকে জানা যায়, ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল ধসে পড়ে  সাভারের রানা প্লাজা ভবনটি। এ ঘটনায় এক হাজার ১৩৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আহত ও পঙ্গু হন প্রায় দুই হাজার শ্রমিক। এছাড়া, ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে দুই হাজার ৪৩৮ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।

পরে ওইদিনই রাজউকের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হেলাল উদ্দিন ইমারত নির্মাণ আইন না মেনে ভবন নির্মাণ করায় সাভার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ২০১৫ সালের ২৬ এপ্রিল সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার বিজয় কৃষ্ণ কর ভবন মালিক সোহেল রানাসহ ১৮ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে একটি অভিযোগপত্র দাখিল করেন। গত ২০১৬ সালের ১৪ জুন ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমান আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।

মামলার অন্য আসামিরা হলো রানার মা মর্জিনা বেগম ও বাবা আবদুল খালেক, সাভার পৌরসভার তৎকালীন মেয়র রেফাত উল্লাহ, কাউন্সিলর মোহাম্মদ আলী খান, সাভার পৌরসভার সাবেক সহকারী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান (পলাতক), সাভার পৌরসভার সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম (কারাগারে), সাভার পৌরসভার সাবেক প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী উত্তম কুমার রায়, সাভার পৌরসভার নগর পরিকল্পনাবিদ ফারজানা ইসলাম (পলাতক), মাহবুব আলম (পলাতক), ঠিকাদার নান্টু (পলাতক), রেজাউল ইসলাম (পলাতক), সাভার পৌরসভার সাবেক উপ-সহকারী প্রকৌশলী রকিবুল হাসান, সারোয়ার কামাল, বজলুস সামাদ আদনান, মাহমুদুর রহমান, আমিনুল ইসলাম ও আনিসুর রহমান।