রোগীর স্বজন ও ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ১১ নম্বর ওয়ার্ডের যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক মিতু আকতার গত রবিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) জানান, চিকিৎসক অপারেশন শেষে বলেন যে পেটে টিউমার নেই। কেমোথেরাপি দিলে রোগী ঠিক হয়ে যাবেন।কিন্তু দশ দিন পর পেটে প্রচণ্ড ব্যথা শুরু হয়। পরে ওই চিকিৎসকের কাছে গেলে তিনি রোগীর মেয়ের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন।
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) পুনরায় অপারেশন করা হবে জানিয়ে রোগীর এই স্বজন বলেন, ‘রবিবার হাসপাতালে রোগীকে ভর্তি করা হয়েছে। প্রথমে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ভর্তি নিতে চায়নি। পরে কাউন্সিলরের হস্তক্ষেপে ভর্তি হয়েছে। তবে তারা বলেছে, ‘রোগী মারাও যেতে পারে। তার দায় আমরা নেবো না।’
মিতু জানান, হাসনার পরিবারের আর্থিক অবস্থা খুবই খারাপ। তার এক ছেলে প্রতিবন্ধী। দুই মেয়ের একজন গার্মেন্ট কারখানায় চাকরি করে। অন্যজন বেকার। তাদের নিজেদের বাড়িটি বিক্রি করে তারা মায়ের প্রথম অপারেশন করায়। এখন তারা নিঃস্ব।
হাসনার চিকিৎসক ডা. জাহাঙ্গীর আলম ভূঁইয়ার সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘এই রোগীর ক্যানসার হয়েছে। আগে অপারেশন করে তার টিউমার বের করা হয়েছে। আবার অপারেশন করে যতটুকু বের করা যায় তা করবো।’
প্রথম অপারেশন সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘তখন অপারেশন করে রোগীর টিউমার বের করা হয়েছে। এখন এটা নতুন করে হয়েছে।’