ছাত্রলীগের হামলায় চোখ হারানোর পথে রফিক!

আহত এহসান রফিকঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) দুর্যোগ বিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী এহসান রফিক চোখে দেখতে পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন তার বাবা রফিকুল ইসলাম ৷ এ জন্য শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিকালে তাকে চোখের চিকিৎসকের কাছে নেওয়ার কথা। মেধাবী রফিকের এ অবস্থায় আতঙ্কে রয়েছে তার পরিবার।

গত ৬ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এহসানের ওপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ রয়েছে। নিজের ধার দেওয়া ক্যালকুলেটর ফেরত চাওয়ায় এ হামলা চালানো হয়। এতে মারাত্মকভাবে আহত হন তিনি। চিকিৎসক বলেছেন, এহসানের চোখের কর্ণিয়া মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ায় এহসানকে চোখের চিকিৎসকের কাছে নেওয়ার কথা।

এহসান চোখে না দেখায় আতঙ্কে আছে তার পরিবার ৷ মা রাতদিন এক করে সেবা করছেন ছেলের ৷ বাবা ছুটে বেড়াচ্ছেন এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতালে । ইতোমধ্যে চিকিৎসক চোখ দুটি পরীক্ষা করেছেন। রিপোর্ট শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) পাওয়া যাবে।

মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকে গোল্ডেন এ প্লাস পাওয়া এহসান দুর্যোগ বিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিভাগেও প্রথম স্থান ধরে রেখেছেন। কৃতী এই শিক্ষার্থীর জন্য আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, শিক্ষক-শিক্ষিকা সবাই দুঃচিন্তায় আছে।

এহসানের বাবার লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে হল কর্তৃপক্ষ। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রকাশ করার কথা বলে বাংলা ট্রিবিউনকে জানান হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবুল আলম জোয়ার্দার।

এহসানের বাবা রফিকুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমার ছেলের চোখের অবস্থা আগের চেয়ে খারাপ হয়েছে । আমার ছেলের মতো অন্য কারও ছেলে যাতে ভবিষ্যতে এরকম হামলার শিকার না হয়। আমি প্রশাসনের কাছে এর বিচার দাবি করছি ।"

এর আগে ২০১০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি স্যার এ এফ রহমান হলের ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত হন ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রথম স্থান অধিকারী আবু বকর। পরে তিনি মারা যান।