ইতোমধ্যে, ভারতে যাওয়ার জন্য রফিকের পাসপোর্ট বানানো হয়েছে। এখন ভিসা পেলে তিনি ভারতের উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়বেন।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এহসানের ওপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ রয়েছে। এ হামলায় তার একটি চোখ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) এহসান রফিকের বাবা রফিকুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমার ছেলে চোখে ঝাঁপসা দেখছে । ওর চোখের অবস্থা ভালো নয়। চিকিৎসক বলেছেন ভারতে নিতে।’
চিকিৎসার ব্যয় বহনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল আমাকে চিকিৎসার ব্যয় বহনের ব্যাপারে একটি আবেদনপত্র দিতে বলেছেন। সেটি দিলে তারা চিকিৎসার ব্যয় বহন করবেন বলে জানিয়েছেন।’
এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘রফিকের চোখের অবস্থা যদি ভালো না হয় তাহলে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিয়ে যাওয়া ভালো হবে।’
উল্লেখ্য, নিজের ধার দেওয়া ক্যালকুলেটর ফেরত চাওয়ায় রফিকের ওপর হামলা চালানো হয়। এ ঘটনায় হল প্রশাসন একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। এরই মধ্যে এ ঘটনার অভিযুক্তদের ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ ৷
রফিকের বাবা জানান, সে সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে আর থাকবে না। সুষ্ঠু হয়ে ফিরে এলে অমর একুশে হলে থাকবে।