এমপিও দুর্নীতি, ১৪ কর্মকর্তাকে বদলি

মাউশি

এমপিও (মান্থলি পেমেন্ট ওর্ডার) দুর্নীতির অভিযোগে চার জেলা ও ৯ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)। এর মধ্যে রয়েছে মাউশির আঞ্চলিক অফিসের উপ-পরিচালক, জেলা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা। তাদের বিরুদ্ধে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিওভুক্তিতে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। আরও অর্ধ শতাধিক কর্মকর্তাকে আগামী সপ্তাহে বদলি করা হতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে তাদের নতুন কর্মস্থলে যোগদান করতে  বলা হয়েছে।

এ ব্যাপারে মাউশির মহাপরিচালক অধ্যাপক মো. মাহাবুবুর রহমান বলেন, ‘যাদের বদলি করা হয়েছে তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ ছিল। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বদলি করা হয়েছে। এ বদলি প্রক্রিয়া চলমান থাকবে।’

বদলি আদেশে কুড়িগ্রাম জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা খন্দকার মো. আলাউদ্দীন আল আজাদকে বরগুনায়, সাতক্ষীরার এস এম ছায়েদুর রহমানকে ফেনীতে, ঝালকাঠি জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা প্রাণ গোপাল দে’কে ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার ফজিলাতুন্নেসা সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদে, ঠাকুরগাঁও জেলার মো. শাহীন আকতারকে মেহেরপুরে বদলি করা হয়।

এছাড়াও নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এস এম আব্দুল ওয়াজেদ তালুকদারকে লক্ষীপুরের কমলনগর, ময়মনসিংহের ত্রিশালের ঝিল্লুর রহমান আনমকে খাগড়াছড়ির গুইমারা, চাপাঁইনবাবগঞ্জের নাচোলের শিক্ষা অফিসার কাজী আ. মোকিমকে শরীয়তপুরের ডামুড্যা, মাদারীপুর সদর উপজেলার শিক্ষা অফিসার এস এম সাইফুল আলমকে পটুয়াখালীর দুমকি, মাদারীপুর কালকিনির আব্দুল জলিলকে নওগাঁও’র রানীনগর, মাদারীপুরে রাজৈর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সনজিব কুমার বালাকে বান্দরবানের রুয়াংছড়ি, শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জের মনিরুজ্জামান চৌধুরীকে রাঙামাটির কাউখালী, ঠাকুরগাঁও’র পীরগঞ্জের আরিফুল্লাহকে কক্সবাজারের রামু, বরিশালের বানারীপাড়ার অলী আহাদকে খাগড়াছড়ি সদরে বদলি করা হয়েছে।

বদলি হওয়া কর্মকর্তাদের মধ্যে কুড়িগ্রাম জেলা শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। জেলার বিভিন্ন মাধ্যমিক ও নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির তথ্য যাচাই, তথ্য অনলাইনে দেওয়া ও প্রাথমিকভাবে এমপিও আদেশ পাওয়া শিক্ষকদের সনদ যাচাই বাবদ তিনি বিভিন্ন অঙ্কের টাকা আদায় করছেন বলে অভিযোগ করা হয়।