X
শনিবার, ১৮ মে ২০২৪
৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

এ জে মোহাম্মদ আলীর সম্মানে বন্ধ থাকবে সুপ্রিম কোর্টের বিচারকাজ

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
০৫ মে ২০২৪, ১১:১৯আপডেট : ০৫ মে ২০২৪, ১১:১৯

সদ্য প্রয়াত সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ও সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সভাপতি জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলীর সম্মানে সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারকাজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

রবিবার (৫ মে) সকালে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান এ সিদ্ধান্তের কথা জানান। ফলে সকাল সাড়ে ১০টার পর আপিল বিভাগ ও বেলা ১১টার পর হাইকোর্টের কোনও বেঞ্চ বসবে না।

তবে আইনজীবীরা আজ শুধু তাদের মামলা মেনশন করার সুযোগ পাবেন। মেনশনের সুবিধার্থে আপিল বিভাগ সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ও হাইকোর্ট বিভাগ সকাল ১১টা পর্যন্ত বসবে।

এর আগে সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে চারজন বিচারপতি আপিল বিভাগের এক নম্বর বেঞ্চে বসেন। এ সময় সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সভাপতি এ জে মোহাম্মদ আলী মারা যাওয়ার বিষয়টি উত্থাপন করে এ ক্ষেত্রে আদালতের বিচারকাজ বন্ধ থাকার রীতি তুলে ধরেন।

জবাবে প্রধান বিচারপতি বলেন, আমরা আপিল বিভাগের বিচারপতিদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এ জে মোহাম্মদ আলীর সম্মানে সকাল সাড়ে ১০টার পর থেকে আপিল বিভাগের বিচারকাজ বন্ধ থাকবে। সকাল ১১টার পর হাইকোর্ট বিভাগের বিচারকাজ বন্ধ থাকবে।

গত ২৮ এপ্রিল সকালে চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশ ছাড়েন এ জে মোহাম্মদ আলী (৭৩)। এরপর তিনি ২ এপ্রিল বাংলাদেশ সময় বেলা ২টা ২০ মিনিটে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে, এক মেয়ে রেখে গেছেন।

এ জে মোহাম্মদ আলী বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের বর্তমান কমিটির সভাপতি ছিলেন। মরহুমের বাবা এম এইচ খন্দকার বাংলাদেশের প্রথম অ্যাটর্নি জেনারেল ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ছিলেন।

এ জে মোহাম্মদ আলীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে তার আত্মার মাগফিরাত কামনা ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ব্যরিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন।

প্রসঙ্গত, এ জে মোহাম্মদ আলী ১৯৮০ সালে হাইকোর্ট বিভাগে এবং ১৯৮৫ সালে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে ২০০১ সালের অক্টোবরে তিনি অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পান। এরপর ২০০৫ সালের ৩০ এপ্রিল তিনি বাংলাদেশের ১২তম অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পান। ২০০৭ সালের ২৪ জানুয়ারি তিনি অ্যাটর্নি জেনারেল পদ থেকে পদত্যাগ করেন।

/বিআই/এনএআর/
সম্পর্কিত
সুপ্রিম কোর্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের স্থান পরিদর্শন প্রধান বিচারপতির
উচ্চ আদালতে আইনজীবীদের পোশাকে শিথিলতা বাতিল, পরতে হবে কালো গাউন
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের কনডেম সেল: হাইকোর্টের রায় স্থগিত
সর্বশেষ খবর
মোবাইল আনতে ডিবি কার্যালয়ে মামুনুল হক
মোবাইল আনতে ডিবি কার্যালয়ে মামুনুল হক
ডা. সাবিরা হত্যা: তিন বছরেও মেলেনি খুনির পরিচয়
ডা. সাবিরা হত্যা: তিন বছরেও মেলেনি খুনির পরিচয়
বিশ্বব্যাংক ভূমিসেবা সম্মেলন ও বাংলাদেশের অর্জন
বিশ্বব্যাংক ভূমিসেবা সম্মেলন ও বাংলাদেশের অর্জন
ঘোড়া নিয়ে নির্বাচনি শোডাউন করায় উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী কারাগারে
ঘোড়া নিয়ে নির্বাচনি শোডাউন করায় উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী কারাগারে
সর্বাধিক পঠিত
মামুনুল হক ডিবিতে
মামুনুল হক ডিবিতে
৩০ শতাংশ বেতন বৃদ্ধির দাবি তৃতীয় শ্রেণির সরকারি কর্মচারীদের
৩০ শতাংশ বেতন বৃদ্ধির দাবি তৃতীয় শ্রেণির সরকারি কর্মচারীদের
যাত্রীর জামাকাপড় পুড়িয়ে পাওয়া গেলো সাড়ে চার কোটি টাকার স্বর্ণ
যাত্রীর জামাকাপড় পুড়িয়ে পাওয়া গেলো সাড়ে চার কোটি টাকার স্বর্ণ
সুপ্রিম কোর্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের স্থান পরিদর্শন প্রধান বিচারপতির
সুপ্রিম কোর্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের স্থান পরিদর্শন প্রধান বিচারপতির
আমেরিকা যাচ্ছেন ৩০ ব্যাংকের এমডি
আমেরিকা যাচ্ছেন ৩০ ব্যাংকের এমডি