ঝিলের স্বাভাকিক সৌন্দর্য নষ্ট হওয়াসহ নানা সমস্যার কারণে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে দর্শনার্থীদের চাহিদার কথা চিন্তা করে সেখানে কিছু সংখ্যক ভ্রাম্যমাণ খাবার দোকান রাখা হবে। প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বিষয়টি বাংলা ট্রিবিউনকে নিশ্চিত করেছেন।
গত শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠিত প্রকল্পের সমন্বয় সভার সভাপতিত্ব করেন রাজউকের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আবদুর রহমান। এতে নগর পরিকল্পনাবিদ, পরিবেশবাদীসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় প্রকল্প পরিকল্পনা, বাস্তবায়ন, রক্ষণাবেক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার বিষয়ে বিস্তর আলোচনা হয়।
দোকানগুলোর খাবারের মান ও দাম নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে শুরু থেকেই নগরবাসী, পরিবেশবাদী ও নগর পরিকল্পনাবিদরা ক্ষোভ প্রকাশ করে আসছেন। এ অবস্থায় হাতিরঝিলের সৌন্দর্য ও প্রাকৃতিক পরিবেশ বজায় রাখতে স্থায়ী দোকানগুলো উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এর আগে গত ২২ ডিসেম্বর ‘মাস্টার প্ল্যান ভঙ্গ করে হাতিরঝিলে দোকান’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ করে অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা ট্রিবিউন। এতে বলা হয়, গত বছরের বিভিন্ন সময়ে হাতিরঝিল প্রকল্পের বিভিন্ন স্থানে ২৯টি দোকান বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
সেসময় রাজউক চেয়ারম্যান বলেছিলেন, বরাদ্দপ্রাপ্তদের কিছু শর্ত দেওয়া হয়েছে। যারা শর্ত মানছেন না তাদের দোকান ভেঙে দেওয়া হবে। এখানে আপসের কিছু নেই। অভিযোগ যেহেতু এসেছে, তা খতিয়ে দেখা হবে।
সংবাদটি প্রকাশের পর কর্তৃপক্ষ কিছুটা নড়েচড়ে বসে।
জানতে চাইলে রাজউকের প্রধান প্রকৌশলী এ এস এম রায়হানুল ফেরদৌস (প্রকল্প ও ডিজাইন) বলেন, ‘হাতিরঝিল থেকে স্থায়ী দোকান উঠিয়ে দেওয়া একটা সিদ্ধান্ত হয়েছে।’