গত কয়েক দিনে জবি ক্যাম্পাসে সরেজমিনে দেখা যায়, শহীদ মিনারটির সামনেই বড় আকৃতির একটি আম গাছ বেড়ে উঠেছে। ফলে সেই গাছের আড়ালে ঢাকা পড়েছে শহীদ মিনারটি। বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা দলবেঁধে জুতা পায়ে বসে আড্ডা দিচ্ছেন সেখানে। তাদের অনেকেই এটাকে নিছক একটি স্থাপত্যকর্ম বলেই জানেন।
জবির ১২তম ব্যাচের কয়েকজন শিক্ষার্থীকে শহীদ মিনারে জুতা পায়ে বসে আড্ডা দিতে দেখা গেল। তারা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরা জানতামই না যে এটা শহীদ মিনার । তাছাড়া সবাইকেই এখানে জুতা পায়েই বসে থাকতে দেখেছি। তাদের দেখে আমরাও ভেবেছি এটা কোনও ভাস্কর্য।’
গবেষকরা বলছেন, এ ধরনের কোনও ঐতিহাসিক বা স্থাপত্য নিদর্শন গাছের আড়ালে থাকার কথা নয়। এসব স্থপত্য হবে খোলা আকাশের নিচে সম্পূর্ণ ফাঁকা কোনও জায়গায়।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, শহীদ মিনারটিকে গাছের আড়াল থেকে মুক্ত করে খোলা কোনও জায়গায় নিয়ে আসা উচিত। কারণ, একটি শহীদ মিনার ক্যাম্পাসের গর্বের জায়গা হলেও জবিতে গাছের আড়ালে ঢাকা পড়ে তা অবমাননার শিকার হচ্ছে।
শহীদ মিনারের এ অবস্থা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমি যেটা জানি, কোনও স্থাপত্য নিদর্শনের সামনে এভাবে কোনও বড় গাছ থাকতে পারে না। এগুলোর সংস্কার প্রয়োজন।’
তবে এই সংস্কার কাজ আপাতত হচ্ছে না জানিয়ে জবি উপাচার্য বলেন, ‘আপাতত এখানে আর কোনও শহীদ মিনার স্থাপন করা সম্ভব না বা এটাকেও স্থানান্তর করা যাচ্ছে না। আমাদের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার হবে কেরানীগঞ্জের নতুন ক্যাম্পাসে।’
আরও পড়ুন-
ছাত্রলীগের দখলে একুশের অতিথিশালা
জামালপুরের কিংবদন্তি ভাষা সৈনিক কয়েস ভাই
মেহেরপুরে বেশিরভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নেই শহীদ মিনার