বাংলাকে জাতিসংঘের দাফতরিক ভাষা করার দাবি





সাহিত্যসন্ধ্যায় যোগ দেওয়া অতিথিরাবাংলাকে জাতিসংঘের দাফতরিক ভাষা করার দাবিতে ‘ভাষার জন্য ভালোবাসা’ শীর্ষক এক সাহিত্যসন্ধ্যার আয়োজন করেছে কাতারের বাংলাদেশ লেখক-সাংবাদিক অ্যাসোসিয়েশন। মহান একুশে ফেব্রুয়ারি ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে এ আয়োজন করা হয়।
২১ ফেব্রুয়ারির এ আয়োজনে যোগ দেওয়া ব্যক্তিরা বলেন, ভিন্ন ভাষার মিশ্রণে বাংলা ভাষাকে জগাখিচুড়ি বানিয়ে আজকাল উপস্থাপন করা হচ্ছে। বাংলা ভাষা হবে শিক্ষার অগ্রগামী মাধ্যম, কেবল প্রাথমিক স্তরে নয়, সর্বোচ্চ স্তরেও। উচ্চ আদালতের ভাষাও বাংলা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু উচ্চশিক্ষা বা উচ্চ আদালতের মাধ্যম এখনও পুরোপুরি বাংলা হয়নি। উচ্চশিক্ষিত ব্যক্তিরা কথাবার্তায় ইংরেজি বলতে সাচ্ছন্দ বোধ করেন। রেডিও, ইলেকট্রনিক মিডিয়া, নাটক ও বিজ্ঞাপনে বাংলাকে বিকৃত করে উপস্থাপন করা হচ্ছে। আকাশ প্রযুক্তির মাধ্যমে ঘরে ঘরে বিদেশি ভাষার চর্চা হচ্ছে; এতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এই প্রজন্মের শিশুরা। ভবিষ্যতে এই পরিণতির দায় আজকের রাষ্ট্রযন্ত্র বা অভিবাবকেরা কোনোভাবেই এড়াতে পারে না বলে সতর্ক করেন বক্তারা। সাহিত্যসন্ধ্যা আয়োজনের প্রশংসা ও প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে নিজ নিজ অবস্থান থেকে শুদ্ধ বাংলা চর্চা ও প্রসারে প্রবাসীদের প্রতি আহ্বান জানান বক্তারা।
সহ সাধারণ সম্পাদক কবি মফিজুর রহমান ও হারুনুর রশিদ মৃধার যৌথ সঞ্চালনায় হক রেস্টুরেন্টের বল রুমে অনুষ্ঠিত এই সাহিত্যসন্ধ্যার সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক একেএম আমিনুল হক। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক নূর মোহাম্মদ।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অ্যারাবিয়ান এক্সচেঞ্জের মহাব্যবস্থাপক নুরুল কবির চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ এমএইচএম স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক তাফসির উদ্দীন। কাতার প্রবাসীদের বক্তব্যের পাশাপাশি কবিতা আবৃত্তি করেন কবি মফিজুর রহমান, তরুণ সংস্কৃতিকর্মী এম মুরাদ হোসেন, অধ্যাপক আমিনুল হক, নূর মোহাম্মদ, আমিন রসুল, অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি জাকারিয়া চৌধুরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জাকারীয়া আহাম্মেদ খালিদ, আলমগির প্রমুখ। অনুষ্ঠানে শ্রাবণ ব্যান্ডের কণ্ঠশিল্পী সাইফুল ও সাজুর পরিবেশিত দেশাত্মবোধক বাংলা গানের সঙ্গে কণ্ঠ মেলান উপস্থিত সবাই।
প্রবাসীদের মধ্যে বিশুদ্ধ বাংলায় লেখা, চর্চা ও প্রসারের প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ লেখক-সাংবাদিক অ্যাসোসিয়েশন, কাতার সর্বাত্মক সহায়তা দেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে।