দণ্ডবিধির ৩৯০ ধারায় বলা হয়েছে, ‘কোনও ব্যক্তি অপর কোনও ব্যক্তিকে তাৎক্ষণিক মৃত্যু বা জখমের ভয় দেখিয়ে বলপূর্বক কোনও বস্তু বা অস্থাবর সম্পত্তি অর্পণে বাধ্য করলে তা দস্যুতা বলে গণ্য হবে।’
দণ্ডবিধির ৩৯১ ধারায় উল্লেখ করা হয়েছে, ‘ডাকাতি হলো ৫ বা ততধিক ব্যক্তি মিলিতভাবে কোনো দস্যুতা অনুষ্ঠান করে বা করার চেষ্টা করে সংখ্যায় ৫ বা ততধিক হয়ে থাকলে এটা ডাকাতি বলে গণ্য হবে।’
অর্থাৎ কোনও অপরাধের সঙ্গে পাঁচজনের কম জড়িত থাকলে তা দস্যুতা এবং পাঁচজন বা ততধিক ব্যক্তি মিলিত হয়ে যদি অপরাধ করলে তা হবে ডাকাতি।
এ দুই ঘটনায় দায়ের করা মামলা নিয়ে সাধারণ মানুষ ও পুলিশের মধ্যে কখনও কখনও মতবিরোধ ও সন্দেহের সৃষ্টি হয়। কারণ, একই ধরনের অপরাধ হলেও অপরাধীর সংখ্যার বিবেচনায় মামলার ধরন পরিবর্তন হয়ে যায়। ফলে কখনও কখনও মামলা নিয়ে তৈরি হয় বিভ্রান্তি।
সারাদেশে এখনও দস্যুতা ও ডাকাতির ঘটনা ঘটে। তবে পুলিশের দাবি, এর সংখ্যা কমে আসছে। পুলিশ সদর দফতরের হিসাব অনুযায়ী, সারাদেশে ডাকাতি ও দস্যুতার ঘটনা কমে আসছে। সদর দফতর থেকে দেওয়া পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ২০১৭ সালে সারাদেশে ডাকাতির ঘটনায় মামলা হয়েছে ৩৩৬টি। ২০১৬ সালে এই সংখ্যা ছিল ৪০৮, ২০১৫ সালে ৪৯১, ২০১৪ সালে ৬৫১ এবং ২০১৩ সালে ডাকাতির ঘটনায় মামলা হয়েছে ৬১৩টি। গত চার বছরে ডাকাতির ঘটনা অর্ধেকে নেমে এসেছে।
দস্যুতার ঘটনাও কমেছে বলে পুলিশ সদর দফতরের পরিসংখ্যান বলছে। ২০১৭ সালে সারাদেশে দস্যুতার ঘটনায় মামলা হয়েছে ৬৫৭টি, ২০১৬ সালে ৭২২টি, ২০১৫ সালে ৯৩৩টি, ২০১৪ সালে এক হাজার ১৫৫টি এবং ২০১৩ সালে দস্যুতার ঘটনায় মামলা হয়েছে এক হাজার ২১টি।
জানতে চাইলে পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (মিডিয়া) আবদুল আলীম মাহমুদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় ডাকাতির ঘটনা কমছে। এছাড়া অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত হওয়ায় ডাকাতি ও দস্যুতার ঘটনা কমে আসছে।’