বুধবার (১৪ মার্চ) বিকালে সিলেটে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের মুক্তমঞ্চে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি এসব কথা বলেন।
জাফর ইকবাল বলেন, ‘একজন মানুষ কত দুঃখী হতে পারে, যার মনে হয় একজনকে মেরে বেহেশতে যাবে। পৃথিবীতে তাকিয়ে দেখো। কী সুন্দর। এ সুন্দর পৃথিবীর কিছুই সে দেখে না, জানে না। কেবল জানে একজনকে মারলে বেহেশতে যাবো।
তিনি বলেন, ‘এখানেও একজন হয়তো আছে। যে ভাবছে, পারলাম না, আরেকবার অ্যাটেম নিতে হবে। তার উদ্দেশে বলছি, আমার সঙ্গে কথা বলতে আসো। অস্ত্রটা বাসায় রেখে আসো। আমি শুনতে চাই, কেন তোমার এত কষ্ট।’
জাফর ইকবাল বলেন, ‘আমাকে নাস্তিক বলো? আমি কোরআন শরিফ শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত নিখুঁতভাবে পড়েছি। সেখানে একটি আয়াত আছে, তুমি যদি একজনকে মারো, তুমি সারা মানবজাতিকে হত্যা করছো। কেমন করে তারা এত বড় দায়িত্ব ঘাড়ে নেয়। কে তোমাদের এসব বুঝিয়েছে। যারা বুঝিয়েছে তারা নিশ্চিন্তে আছে। আর তুমি, যে কিনা রিমান্ডে আছো, তোমার মা, ভাই, বাবা রিমান্ডে। যারা এসব কথা বলো, তারা আসো, আমার সঙ্গে কথা বলো।’
এর আগে বুধবার (১৪ মার্চ) দুপুর ১২টা ৪৫ মিনিটে জাফর ইকবালকে বহনকারী নভোএয়ারের একটি বিমান সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। তাকে বরণ করে নিতে শাবিপ্রবির শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা বিমানবন্দরে সকাল থেকেই অপেক্ষা করছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ৩ মার্চ ছুরিকাহত হওয়ার পর ওই দিন রাতেই ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) নিয়ে আসা হয় ড. জাফর ইকবালকে। বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় তাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
আন্তঃবাহিনী গণসংযোগ পরিদফতরের সহকারী পরিচালক রেজাউল করিম শাম্মী বাংলা ট্রিবিউনকে একথা জানান। তিনি জানান, ড. জাফর ইকবাল এখন সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন। তবে আগামী সাতদিন তাকে পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে বলা হয়েছে।