কাঠমান্ডুর আহতদের দেখতে হাসপাতালে ভিড় করবেন না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতালে প্রেস ব্রিফিং

নেপালের কাঠমান্ডতে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় আহতদের দেখতে হাসপাতালে ভিড় না করার আহ্বান করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। তিনি বলেছেন, ‘নেপালের আহতদের দেখতে হাসপাতালে ভিড় করবেন না। কেউ যেন রোগীদের দেখতে হাসপাতালে না আসে। বার্ন ইউনিটে এসে রোগী দেখার দরকার নেই। এতে রোগীর আত্মীয়রা যেমন অস্বস্তি অনুভব করেন, একই সঙ্গে চিকিৎসাসেবাও ব্যাহত হয়।’

আজ শুক্রবার (১৬ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার সময় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ডিএমসি) হাসপাতালে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। এর আগে হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে ভর্তি থাকা নেপালের দুর্ঘটনায় আহত শাহরিন আহমেদকে দেখে আসেন তিনি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি যে, যারা অসুস্থ আছেন তারা প্রত্যেকেই সুস্থ হয়ে উঠবেন। আমাদের অভিজ্ঞ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা তাদের চিকিৎসা করছেন। সিঙ্গাপুরের চিকিৎসকদের সঙ্গেও আমরা যোগাযোগ রাখছি। প্রয়োজনে সিঙ্গাপুরে নিয়ে গিয়েও এই রোগীদের চিকিৎসাসেবা দেওয়া হবে। এই রোগীদের বার্ন বা অর্থোপেডিক যে চিকিৎসাই লাগুক না কেন আমরা চিকিৎসাসেবা দিতে প্রস্তুত আছি।’

এসময় বার্ন ইউনিটের সমন্বয়ক সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘নেপাল থেকে শাহরিনকে গতকাল ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে আসার পর তার ড্রেসিং করানো হয়েছে। ছোট্ট একটি অপারেশন করা লাগবে তার। আমরা আগামী রবিবার মেডিক্যাল বোর্ড বসিয়ে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেব।’  

তিনি আরও বলেন, ‘নেপালে আমাদের যে স্বাস্থ্য টিম গিয়েছে, সেই টিমের সঙ্গে আমরা সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি। সব প্রক্রিয়া শেষ হলে ওখানে থাকা বাংলাদেশি রোগীদের দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করবে স্বাস্থ্য টিম।’  

ঢামেক হাসপাতালে প্রেস ব্রিফিং

প্রেস ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক এএইচএম এনায়েত হোসেন বলেন, ‘নেপালে আমাদের একটি স্বাস্থ্য টিম গিয়েছে, তারা যে রেকর্ড পাঠিয়েছেন তা থেকে জানা যায়- সেখানে দু’জন রোগী সংকটাপন্ন অবস্থায় আছেন। বাকিরা মোটামুটি সুস্থ আছেন। তারা খুব শিগগিরই দেশে ফিরবেন।’ আজ  শুক্রবার নেপাল থেকে ৩ জনের ফেরার কথা রয়েছে বলেও জানান তিনি।   

উল্লেখ্য, ১২ মার্চ নেপালের ত্রিভুবন বিমানবন্দরে ৬৭ জন যাত্রী ও চারজন ক্রু নিয়ে বিধ্বস্ত হয় ইউএস-বাংলা’র একটি বিমান। এতে ৫১ জন নিহত হন। এর মধ্যে ২৬ জন বাংলাদেশি। নিহত ২৬ বাংলাদেশির মধ্যে মাত্র ৮ জনের পরিচয় শনাক্ত করা গেছে। অন্যদের ডিএনএ স্যাম্পল নিয়ে প্রোফাইলিং করে শনাক্তের কাজ চলছে। এদিকে এ ঘটনায় আহত ১০ বাংলাদেশির মধ্যে ৭ জনকে অনাপত্তিপত্র দেওয়া হয়। আহতদের একজনকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে (বিজি ০৭২) বৃহস্পতিবার নেপাল থেকে শাহরিন আহমেদ নামের আরও একজনকে দেশে আনা হয়েছে।