‘কবির হোসেনের অবস্থা ক্রিটিক্যাল’

 

 



ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালনেপালে বিমান দুর্ঘটনায় আহত কবির হোসেনের অবস্থা খুব ক্রিটিক্যাল (সংকটাপন্ন) বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে সমন্বয়ক ও মেডিক্যাল বোর্ডের প্রধান ডা. সামন্ত লাল সেন। বৃহস্পতিবার (২২ মার্চ) তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে এ কথা জানান।

ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘কবির হোসেনের অবস্থা খুব ক্রিটিক্যাল। আমরা চেষ্টা করছি কবির হোসেনের তাড়াতাড়ি অস্ত্রোপচার (অপারেশন) করার। তার অবস্থা স্বাভাবিক না হলে অপারেশন করা সম্ভব হবে না।’

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বাকি ছয় জন সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘অপারেশনের পর শাহীন ব্যাপারী মোটামুটি ভালো আছেন। শেহরিনও বেশ ভালো আছেন। এছাড়া বাকিরা— সৈয়দ রাশেদ রুবাইয়াত, আলীমুন নাহার এ্যানী ও সৈয়দা কামরুন নাহার স্বর্ণা ও মেহেদী হাসান— তারা সবাই ভালোই আছেন।’

আহত এ সাত জনের মধ্যে ১৫ মার্চ শেহরিন আহমেদকে দেশে আনা হয়। এরপর  ১৬ মার্চ এ্যানি, মেহেদী ও স্বর্ণাকে দেশে আনা হয়।পরে আসেন শাহীন ব্যাপারী ও কবির হোসেন।

গত ১২ মার্চ নেপালে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিমান দুর্ঘটনায় ২৬ বাংলাদেশিসহ ৪৯ জন নিহত হন। এ ঘটনায় আহত হন দশ জন বাংলাদেশি।

আহতদের মধ্যে সাত জন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

বুধবার (২১ মার্চ) আহত শাহরিন আহমেদ ও শাহীন ব্যাপারীর অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে। গত ১৬ মার্চ এ্যানী, মেহেদী ও স্বর্ণাকে দেশে আনা হয়। তাদের অবস্থা সম্পর্কে ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘এ্যানীর ডান পায়ে ফ্র্যাকচার আছে, সঙ্গে ইনজুরিও আছে। স্বর্ণার শরীরের বাম দিকে ব্যথা আছে, ইনজুরি আছে এবং শ্বাসনালীতে বার্ন আছে। মেহেদীর হাতে কাটা দাগ আছে এবং ঘাড়ে ও পায়ে ইনজুরি আছে, ফ্র্যাকচার আছে।’
তিনি  জানান, ‘ এ তিন জনের প্রত্যেকেই সাইকোলোজিক্যাল ট্রমার মধ্যে আছে। এদের কোনও পোড়া নেই, কিন্তু এদের যেহেতু আঘাত আছে এবং শ্বাসনালীর ইনজুরি আছে, সেহেতু এদের অর্থোপেডিকস ও রেসপিরেটরি মেডিসিনের চিকিৎসকদের দেখানো হবে। এদের সুস্থ হতে ন্যূনতম ছয় সপ্তাহ সময় লাগবে।’


নেপালে আহত   বাকি তিন বাংলাদেশির মধ্যে ইমরানা কবির হাসি ও ডা. রেজওয়ান আহমেদ সিঙ্গাপুরে এবং ইয়াকুব আলী ভারতে চিকিৎসা নিচ্ছেন।