ওয়ারীতে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত তরুণ তালহা হত্যা মামলার আসামি





ছিনতাইকারীর ‍ছুরিকাঘাতে নিহত খন্দকার আবু তালহা (ছবি- সংগৃহীত)রাজধানীর ওয়ারীতে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত তরুণ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী খন্দকার আবু তালহা হত্যা মামলার সন্দেহভাজন প্রধান আসামি। ওয়ারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। নিহত ওই তরুণের নাম মো. রাকিব (২২)। 
রফিকুল ইসলাম জানান, তালহা হত্যা মামলার পলাতক আসামি ছিল ‘বন্দুযুদ্ধে’ নিহত রাকিব। তাকে খোঁজা হচ্ছিল।
গত বছরের ৮ অক্টোবর ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের আশুলিয়া শাখার কম্পিউটার সায়েন্সের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র খন্দকার আবু তালহা ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে নিহত হন। এ ঘটনায় তার বাবা নূর উদ্দিন খন্দকার বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডের পর ঘটনাস্থলের আশেপাশের ভবনের সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ জব্দ করে পুলিশ। ঘটনার নয় দিন পর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত দুজনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার দুজন হলো— বেলাল হোসেন সবুজ ও আব্দুর রহমান মিলন। তারা দুজনই ছিনতাইকারী। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকারও করে তারা। তাদের স্বীকারোক্তি ও ভিডিও ফুটেজে রাকিবের নাম আসে।
পুলিশ তাদের স্বীকারোক্তিতে জানতে পারে, তালহা হত্যায় রাকিব ‘মূল ভূমিকায়’ ছিল।
ঘটনার ছয় মাস পর ৬ এপ্রিল ভোরে ওয়ারীর জয়কালী মন্দির এলাকায় হোমিও কলেজের পেছনে ছিনতাইয়ের প্রস্তুতির সময় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হলো রাকিব।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ৮ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৬টায় রিকশা করে যাত্রাবাড়ী যাওয়ার উদ্দেশে বাসা থেকে বের হন তালহা। এরপর ছিনতাইকারীর কবলে পড়ে আহত হন। আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে দ্রুত ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে সকাল সোয়া ৮টার দিকে মারা যান তিনি।
‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত রাকিবের গ্রামের বাড়ি মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ি এলাকায়। তার বাবার নাম মহসীন হাওলাদার। রাজধানীর ওয়ারীতেই সে মা-বাবার সঙ্গে থাকতো।
শুক্রবার (৬ এপ্রিল) বিকালে রাকিবের মা-বাবা ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে তার ছেলের লাশ শনাক্ত করেন।