রাজীব এখনও আশঙ্কামুক্ত নন: চিকিৎসক

 



হাসপাতালে রাজীবদুই বাসের চাপায় হাত হারানো রাজীব হোসেনের অবস্থা এখনও আশঙ্কামুক্ত নয় বলে জানিয়েছেন তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিক্যাল বোর্ডের প্রধান ও ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অর্থোপেডিক বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. শামসুজ্জামান শাহীন। শুক্রবার (৬ এপ্রিল) তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আজ রাজীব ভালোই আছে। মোটামুটি সন্তোষজনক। খুব ভালো— এটা বলা যাবে না। এখনও আশঙ্কামুক্ত নয়। কারণ, হেড ইনজুরি আছে। মাথার সামনের অংশ আঘাতপ্রাপ্ত। মাথার হাড়ে ফাটল আছে। সেইসঙ্গে হাতের সমস্যা তো আছেই।’
ডা. শামসুজ্জামান শাহীন বলেন, ‘গতকাল (বৃহস্পতিবার) ড্রেসিং করা হয়েছে। আগামীকাল আবার তার ড্রেসিং করা হবে। গতকালের চেয়ে আজকে একটু ভালো। এই কারণে বলবো যে সে খেতে চাইছে, কথা বলতে পারছে।’
রাজীবের মামা জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘ওর শারীরিক অবস্থার তেমন উন্নতি দেখছি না। বরং অবনতিই বলা যায়। ও কথা বলছে, কিন্তু ওর কথা আসলে স্বাভাবিক কথা না। ওর নিজের ব্রেনে কথা বলছে। ওর কোন সাধারণ জ্ঞানে কথা বলছে না। আমরা যে আত্মীয়রা আছি আমাদেরও চিনছে না। ওর আচরণ স্বাভাবিক না।’
তিনি বলেন, ‘চিকিৎসক আমাদের বলেছিলেন, ওর যখন ব্রেন হ্যামারেজ হয়েছে তখন ওর বিহেভ অস্বাভাবিক হতে পারে। যত বার খাওয়াতে গেছি ও আমার ওপর রাগ করছে। চিকিৎসকরা ওর খুবই ভালো সেবা করছে। অবশ্যই আমাদের চিকিৎসকদের ব্যাপারে বলা উচিত যে উনারা আমাদের যথেষ্ট পরিমাণে সেবা দিচ্ছে। উনারা যথেষ্ট পরিমাণে আন্তরিক আমাদের প্রতি। বারবার ডাকছে আমাদের বলছে, যা পারো যতটুকু পারো ওকে খেতে দাও। আমি বারবার খাবার নিয়ে যাচ্ছি, আবার ফেরত আসছি।’

গত ৩ এপ্রিল দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে সার্ক ফোয়ারার সামনে দুই বাসের চাপায় তিতুমীর কলেজের ছাত্র রাজীব হোসেনের (২২) হাত শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। আহত অবস্থায় প্রথমে তাকে পান্থপথের শমরিতা হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে ৪ এপ্রিল বিকালে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজীবকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়।