রাজীবের মাথার হাড়ে চিড় রয়েছে: চিকিৎসক





হাসপাতালে রাজীবদুই বাসের চাপায় হাত হারানো রাজীব হোসেনের মাথার হাড়ে চিড় রয়েছে। মাথায় রক্ত জমে রয়েছে। মাথার ডান পাশ ফোলা রয়েছে। বাম পাশে অবশ্য ফোলা কম। আচরণেও রয়েছে অসংলগ্নতা। তবে তার অবস্থা এখন স্থিতিশীল রয়েছে।
রবিবার (৮ এপ্রিল) রাজীব হোসেনের টিকিৎসায় গঠিত মেডিক্যাল বোর্ডের প্রধান ও ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অর্থোপেডিক বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. মো. শামসুজ্জামান বাংলা ট্রিবিউনকে এ কথা বলেন।
ডা. মো. শামসুজ্জামান বলেন, ‘রাজীব এখন কম খাচ্ছেন। পরিবারের সদস্যরা তাকে খাওয়ানোর চেষ্টা করছে। তার ব্যাপারে নিউরোসার্জন অসিত চন্দ্র সরকার সিটি স্ক্যান করার জন্য বলেছেন।’ তিনি বলেন, ‘আমরা রাজীবের চিকিৎসা দিতে সক্ষম। যদি তার চিকিৎসার ব্যত্যয় ঘটে তখন আমরা তাকে বিদেশে নিয়ে যাওয়ার জন্য বলবো।’
বাংলাদেশে রাজীব সর্বোচ্চ চিকিৎসা পাচ্ছেন। দেশের বাইরে গেলে এর দশ শতাংশও যত্ন (কেয়ারিং) পাবেন না উল্লেখ করে ডা. মো. শামসুজ্জামান বলেন, ‘কোনও সহৃদয় ব্যক্তি চাইলে রাজীবের কৃত্রিম হাত জার্মানি থেকে কিনে আনার ব্যবস্থা করে সরকারকে সাহায্য করতে পারেন। এতে তার পাঁচ থেকে সাত লাখ টাকা লাগতে পারে। তবে, কৃত্রিম হাত সুস্থ হওয়ার পর লাগাতে হবে।’
ডা. মো. শামসুজ্জামান বলেন, ‘রাজীব শমরিতা হাসপাতালে বেস্ট ট্রিটমেন্ট পেয়েছেন। সহকারী অধ্যাপক ডা. জাহিদুর রহমান তার হাতের অপারেশন করেন। পরে তার আর অপারেশন করা লাগেনি। ঢাকা মেডিক্যালে আনার পর তার হাতে দুই বার ড্রেসিং করা হয়েছে।গতকালও ড্রেসিং করা হয়েছে।’
রাজীবের খালা জাহানারা বেগম বলেন, ‘রাজীবের অবস্থা ভালো হচ্ছে বলে মনে হয় না। সে আগের মতোই আছে। তার যদি দরকার হয় আমরা সরকারকে অনুরোধ করবো যেন প্রয়োজনে বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা করায়।’
গত ৩ এপ্রিল দুপুরে রাজধানীর কাওরান বাজারে সার্ক ফোয়ারার সামনে দুই বাসের চাপায় তিতুমীর কলেজের ছাত্র রাজীব হোসেনের (২২) হাত শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। আহত অবস্থায় প্রথমে তাকে পান্থপথের শমরিতা হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে ৪ এপ্রিল বিকালে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজীবকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়।