রাবিতে ছাত্র রাজনীতির হালচাল:পর্ব-৩

কর্মী সংকট সত্ত্বেও মাঠে আছে বাম সংগঠনগুলো

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) মিছিল-মিটিং, সমাবেশসহ সাংগঠনিক সব কর্মসূচি নিয়ে সক্রিয় থাকলেও জনবল সংকটে ভুগছে বাম ছাত্র সংগঠনগুলো। তবে কর্মী সংকট সত্ত্বেও ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের স্বার্থ রক্ষা ও জাতীয় ইস্যুতে মাঠে আছেন সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা।

ক্যাম্পাস সূত্রে জানা গেছে, বামপন্থী চারটি ছাত্র সংগঠন— ছাত্র ফেডারেশন, ছাত্র ইউনিয়ন, বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রী ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট  তাদের কার্যক্রম চালাচ্ছে।

এই চার ছাত্র সংগঠনের বেশির ভাগ কর্মসূচি ‘গ্রগতিশীল ছাত্রজোট’-এর ব্যানারে সমন্বিতভাবে পালন করা হয়, বিশেষ করে মানববন্ধন, মিছিল,বিক্ষোভ ও সমাবেশ। তবে এসব সমন্বিত কর্মসূচিতে হাতেগোনা ২০-২৫ নেতাকর্মী চোখে পড়ে।

এরপরও এসব বাম সংগঠনের হাত ধরে বড় ধরনের আন্দোলনও হয়েছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে। বর্ধিত ফি প্রত্যাহার ও সান্ধ্যকোর্সবিরোধী আন্দোলনে বামপন্থী সংগঠনগুলোর ডাকে সাড়া দিয়ে রাস্তায় নামেন হাজার হাজার শিক্ষার্থী। সেই সময় শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি আদায়ে সক্ষম হন। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এসব সংগঠনের দাবিতে কর্ণপাত করে না বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু প্রতিবাদ করতে, রাস্তায় নামতে কার্পণ্য করেন না বাম নেতাকর্মীরা।

জানতে চাইলে রাবি ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি কিংশুক কিঞ্জল বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমাদের কর্মী সংকট আছে বলে আমার মনে হয় না। বিশ্বায়নের যুগে এমনটা হবেই। আমরা আমাদের মতো করে কাজ করে যাচ্ছি, আগামীতেও যাবো।’

রাবি ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি এএম শাকিল বলেন, ‘আমাদের কমিটি ৩১ সদস্যের। কিন্তু জনবল না থাকায় আমরা ১৯ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করেছি। যেকোনও ছাত্রবান্ধব ইস্যুতে আমরা রাস্তায় নামবো। আর যখন কোনও দল ক্ষমতায় আসে তার বিপরীত ছাত্র সংগঠন ক্যাম্পাসে থাকতে পারে না, কিন্তু আমরা থাকি এবং সক্রিয়ভাবে কর্মসূচিও পালন করি।’

তিনি বলেন, ‘আমরা সব সময় ছাত্রবান্ধব ইস্যু নিয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলি। তারা অনেক বিষয় গুরুত্ব দেয়, আবার অনেকগুলো দেয় না। যদি সব ইস্যুকে গুরুত্ব দেয় তবে সেটা অবশ্যই ছাত্রদের জন্য ভালো। কিন্তু আমাদের কাজ আমরা চালিয়ে যাবো।’

আরও পড়ুন- 

ক্যাম্পাসে একক আধিপত্য ছাত্রলীগের

ক্যাম্পাসে ‘অস্তিত্ব’ নেই ছাত্রদল-শিবিরের