প্রতিবাদে বলা হয়েছে- গভর্নিং বডির সিদ্ধান্তে ওই চার জনকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। মেইটেনেন্স ইঞ্জিনিয়ার মো. নাজমুল হোসাইন ইস্তফা দিয়েছেন। টেকনিক্যাল অফিসার মো. আরিফুল ইসলামকে নোটিশ দিয়ে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে প্রতিষ্ঠানের অর্থ আত্মসাতের কারণে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গভর্নিং বডির সিদ্ধান্তে তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। আর অদক্ষতার জন্য হিসাব কর্মকর্তা রুহুল কেস্ত চৌধুরী ও মো. তাসনিমুল হাসানকে গভর্নিং বডির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বরখাস্ত করা হয়েছে।
প্রতিবেদকের বক্তব্য
মেইটেনেন্স ইঞ্জিনিয়ার মো. নাজমুল হোসাইনকে মারধর করা হয়েছে বলে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে আশুলিয়া থানায় দায়ের করা সাধারণ ডায়েরিতে। এছাড়াও সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন পর্যায়ে তিনি এর প্রতিকার চেয়ে আবেদন করেছেন। সাধারণ ডায়েরি ও আবেদনে নাজমুল উল্লেখ করেছেন, তাকে প্রতিষ্ঠান থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। পরে পাওনা ফেরত দেওয়ার জন্য ডেকে তা পরিশোধ না করে জোর করে অব্যাহতিপত্র লিখিয়ে নেওয়া হয়। চাকরিচ্যুতির নোটিশ করা হয়নি।
টেকনিক্যাল অফিসার মো. আরিফুল ইসলাম অভিযোগ করেছেন, তাকে গত ১৩ মার্চ অফিস থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। থানায় দায়ের করা সাধারণ ডায়েরি, আইনি নোটিশ ও সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন পর্যায়ে করা আবেদনে তিনি বলেছেন, ‘আমাকে কোনও নোটিশ না করেই অফিস থেকে বের করে দেওয়া হয়। আইন অনুযায়ী আমি শ্রমিক হিসেবে বহাল রয়েছি।’
আইটি অফিসার তাসনিমুল হাসানকে ২০১৭ সালের ১০ জুলাই অনুষ্ঠিত গভর্নিং বডির ৪১তম সভায় আবেক্ষকালীন অক্ষমতার কারণে চাকরিচ্যুত করা হয়। এর আগে চাকরিচ্যুতি সংক্রান্ত কোনও নোটিশ করা হয়নি। অব্যাহতির ২০ দিন পর ৩১ জুলাই চাকরিচ্যুতির নোটিশ করা হয়।