ভুল মুছে সঠিক উত্তর লিখে শিক্ষার্থীকে পাস করানোর অভিযোগ

রাজধানীর নামিদামি স্কুলে ভর্তির জন্য প্রতিবছরই তীব্র প্রতিযোগিতা থাকে এবং ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমেই সেসব স্কুলে পড়ার সুযোগ পেতে হয় শিক্ষার্থীদের। আর এটাকে পুঁজি করেই কোনও কোনও প্রতিষ্ঠানের কর্তাব্যক্তিরা বিপুল পরিমাণ টাকার বিনিময়ে অনুত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের পাস করিয়ে ভর্তির সুযোগ করে দেয় বলে নানা সময়ে অভিযোগ পাওয়া যায়। এবার মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ড. শাহান আরা’র বিরুদ্ধেও এই অভিযোগ উঠেছে।

মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যাণ্ড কলেজ
তার বিরুদ্ধে অভিযোগে, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় শ্রেণিতে ভর্তিচ্ছু অনেক শিক্ষার্থীর ভর্তি পরীক্ষার উত্তরপত্রে ভুল উত্তরগুলো রাবার দিয়ে তিনি মুছে দিয়েছেন। পাশাপাশি সঠিক উত্তর লিখে তাদের পাস করিয়েও দেওয়া হয়েছে।

এই অভিযোগ আমলে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রণালয় ওই পরীক্ষার সবক’টি উত্তরপত্র জব্দ করে তদন্ত করতে সংশ্লিষ্ট দফতরকে নির্দেশ দিয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৯ এপ্রিল) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বেসরকারি মাধ্যমিক শাখা-১-এর উপসচিব কামরুল হাসান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আইডিয়াল কলেজের মতিঝিল, বনশ্রী এবং মুগদা শাখায় দ্বিতীয় এবং তৃতীয় শ্রেণিতে ভর্তিচ্ছু ফেল করা শিক্ষার্থীদের টাকার বিনিময়ে এভাবে পাস করিয়ে ভর্তি করানো হয়েছে। ওই অভিযোগে এক অভিভাবক দাবি করেছেন, উত্তরপত্রগুলো যাচাই-বাছাই করলেই তার প্রমাণ পাওয়া যাবে।

জানতে চাইলে মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অভিযুক্ত অধ্যক্ষ ড. শাহান আরা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমি অধ্যক্ষ, আমার কাজ তো কোনও শিক্ষার্থীর খাতা দেখা নয়। আমি কোনও পরীক্ষার হলে ডিউটিও দেই না। তাহলে আমার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ কেন আসবে? আমার স্কুলের শিক্ষকরাই খাতা দেখেন, তারাই ফলাফল প্রণয়ন করেন, আমি কেবলমাত্র স্বাক্ষর করে দেই। তারপর সেটা প্রকাশ করা হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘এখন যেহেতু মন্ত্রণালয় অভিযোগ পেয়েছে, সেহেতু তারা তদন্ত করে দেখতেই পারেন। তদন্তের পরই বোঝা যাবে ঘটনা কি ঘটেছে।’