রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. আবদুল কাদের পাটোয়ারী বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য জানান।
মো. আবদুল কাদের পাটোয়ারী বলেন, ‘আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করা হয়েছে। পরে তাদের সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।’
তিনি বলেন, ‘জাকিয়া বেগমকে লিলুকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে হত্যা করে লাশ গোপন করার অপরাধে তাদের আরও সাত বছর করে কারাদণ্ড, পাশাপাশি ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। অনাদায়ে আরও তিন মাস করে কারাভোগ করতে হবে তাদের।’
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, সৈয়দ আমিনুল হক ঢাকায় লাবণ্য ল্যান্ড কনস্ট্রাকশনে চাকরি করতেন। আমিনুল হকের প্রথম স্ত্রী জাকিয়া বেগম ২০০২ সালে ছেলে-মেয়েকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় আসেন। পরে ওই বছরের ৯ ডিসেম্বর ছেলে-মেয়েরা মা জাকিয়া বেগমকে শ্যামপুরের বাসায় রেখে চলে যান। পরবর্তীতে ১২ ডিসেম্বর সৈয়দ আমিনুল হক ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী আকলিমা খাতুন জাকিয়া বেগমকে হত্যা করে লাশ মাটির নিচে পুঁতে রাখে।
২০০২ সালের ৩১ ডিসেম্বর শ্যামপুর থানার পুলিশের ( উপ-পরিদর্শক) সৈয়দ মহসিনুল হক একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
২০০৪ সালের ২৭ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শ্যামপুর থানার উপ-পরিদর্শক মো. শাহ আলম আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। ওই বছরের ৪ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরু করেন আদালত। এ মামলায় ১৫ জন সাক্ষীর জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে।