তাজরীন গার্মেন্টসের অগ্নিকাণ্ডের মামলায় সাক্ষ্য হয়নি

 



আদালততাজরীন গার্মেন্টসে অগ্নিকান্ডে ১১১ শ্রমিক নিহতের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় কোনও সাক্ষী না আসায় সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ পিছিয়ে আগামী ২০ জুন পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়েছে।
রোববার (২২ এপ্রিল) মামলাটি সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন কোনও সাক্ষী আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক প্রদীপ কুমার রায় পরবর্তী দিন ধার্য করেন।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী নূর মোজাম্মদ বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য জানান।
মামলার অভিযুক্ত আসামিরা হলেন প্রতিষ্ঠানের মালিক দেলোয়ার হোসেন, চেয়ারম্যান মাহমুদা আক্তার, লোডার শামীম, স্টোর ইনচার্জ (সুতা) আল আমিন, সিকিউরিটি ইনচার্জ আনিসুর রহমান, সিকিউরিটি সুপার ভাইজার আল আমিন, স্টোর ইনচার্জ হামিদুল ইসলাম লাভলু, অ্যাডমিন অফিসার দুলাল উদ্দিন, প্রকৌশলী এম মাহবুবুল মোর্শেদ, সিকিউরিটি গার্ড রানা ওরফে আনোয়ারুল, ফ্যাক্টরি ম্যানেজার আব্দুর রাজ্জাক, প্রোডাকশন ম্যানেজার মোবারক হোসেন মঞ্জুর ও শহীদুজ্জামান দুলাল।
অভিযুক্ত আসামিদের মধ্যে পলাতক রয়েছেন রানা, রাজ্জাক, মঞ্জুর ও দুলাল।

২০১৩ সালের ১৯ ডিসেম্বর মামলাটি তদন্তের পর ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন সিআইডির পুলিশের ইন্সপেক্টর একেএম মহসীনুজ্জামন।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, ভবনটির নকশায় ত্রুটি ও জরুরি নির্গমনের পথ না থাকায় এবং আগুন লাগার পর শ্রমিকেরা বাইরে বের হতে চাইলে নিরাপত্তা কর্মীরা অগ্নিকাণ্ডকে অগ্নিনির্বাপন মহড়া বলে শ্রমিকদের কাজে ফেরত পাঠিয়ে কলাপসিবল গেট লাগিয়ে দেয় বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে। ২০১৫ সালের ৩ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।
২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর তাজরীন গার্মেন্টসে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে ১১১ জন পোশাক শ্রমিক নির্মমভাবে মারা যান।