জেনারেল মঞ্জুর হত্যা: শেষবারের মতো তদন্ত প্রতিবেদনের সময় নির্ধারণ

আদালতজেনারেল মঞ্জুর হত্যা মামলায় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদসহ পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে শেষবারের মতো অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২২ জুলাই দিন ধার্য করেছেন আদালত।
রবিবার (২২ এপ্রিল) মামলাটি অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার আবদুল কাহার আকন্দ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেননি। তিনি সময়ের আবেদন করেন।পরে ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ বিচারক প্রদীপ কুমার রায় শেষবারের মতো সময় মঞ্জুর করে ২২ জুলাই পরবর্তী তারিখ ঠিক করেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি আসাদুজ্জামান খান রচি বাংলা ট্রিবিউনকে এই তথ্য জানান।
মামলায় অন্য আসামিরা হলেন মেজর (অব.) কাজী এমদাদুল হক, লে. কর্নেল (অব.) মোস্তফা কামাল উদ্দিন ভূইয়া, মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুল লতিফ ও লে. কর্নেল (অব.) শামসুর রহমান শামস।
মামলাটিতে আসামি আব্দুল লতিফ ও শামসুর রহমান শামস বিষয়ে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ থাকায় এইচ এম এরশাদ, কাজী এমদাদুল হক ও মোস্তফা কামাল উদ্দিন ভূইয়ার বিরুদ্ধে বিচার হচ্ছে।

২০১৪ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি রায় ঘোষণার দিন ধার্য ছিল। ওই রায় ঘোষণার আগে তৎকালীন বিচারক হোসেনে আরা আকতারকে বদলি করা হয়। পরে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত মামলাটিতে অধিকতর তদন্তের আদেশ দেন।

১৯৮১ সালের ১ জুন জেনারেল আবুল মঞ্জুরকে পুলিশ হেফাজত থেকে চট্টগ্রাম সেনানিবাসে নিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়।
১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রামে সেনা অভ্যুত্থানে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান নিহত হন। তখন চট্টগ্রামে অবস্থিত সেনাবাহিনীর ২৪তম পদাতিক ডিভিশনের জেনারেল অফিসার স্টাফ (জিওসি) ছিলেন আবুল মঞ্জুর। জিয়াউর রহমান নিহত হওয়ার পর আত্মগোপনে যাওয়ার পথে মঞ্জুরকে আটক করে পুলিশ।

১৯৯৫ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি জেনারেল মঞ্জুরের বড় ভাই ব্যারিস্টার আবুল মনসুর আহমেদ বাদী হয়ে চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানায় এ মামলা দায়ের করেন। ওই বছরের ১৫ জুলাই তৎকালীন সহকারী পুলিশ সুপার আবদুল কাহার আকন্দ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপর মামলাটি পুনরায় অধিকতর তদন্তে যায়।