সড়কে পড়ে আছে ঝড়ে ভাঙা গাছ

আগারগাঁও থেকে খামারবাড়ি

রবিবার (২২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রাজধানীর ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া কালবৈশাখী ঝড়ে উপড়ানো গাছপালা এখনও বিভ্ন্নি রাস্তায় পড়ে আছে। আজ সোমবার (২৩ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকেও নগরীর বিভিন্নস্থানে উপড়ে পড়া গাছ ও গাছের ডালপালা পড়ে থাকতে দেখা গেছে। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি ও ডিএনসিসি)-এর পক্ষ থেকে এগুলো সরানো হয়নি, তাই পথচারীদের বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, রাজধানীর আগারগাঁও, শেরেবাংলা নগর থেকে খামারবাড়ি পর্যন্ত সড়কের বিভিন্ন স্থান ও ফুটপাতে ঝড়ে ভেঙে পড়া গাছ ও গাছের ঢাল পড়ে আছে। এতে পথচারীদের চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে।

কামাল হোসেন নামে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের একজন কর্মচারী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘সকালে মিরপুর থেকে অফিসে আসার পথে দেখি, বড় বড় গাছপালা সড়কে পড়ে আছে। ফলে ফুটপাত দিয়ে হাঁটতে সমস্যা হয়েছে। দুয়েক জায়গায় রাস্তায়ও গাছ পড়ে থাকতে দেখা গেছে।’

আগারগাঁও থেকে খামারবাড়ি

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা অব্দুর রাজ্জাক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘রাস্তা থেকে বড় গাছগুলো পরিষ্কারের জন্য আমার বিভাগের ইকুইপমেন্ট নেই। আমার কর্মীদের কাজ হচ্ছে সড়ক পরিষ্কার রাখা।’

তবে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেসবাহুল ইসলাম, প্রধান প্রকৌশলী সাঈদ আনোয়ারুল ইসলাম ও অঞ্চল-৫ এর নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম অজিয়র রহমান দেশের বাহিরে অবস্থান করায় তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে ডিএনসিসির অঞ্চল ৩ এর নির্বাহী কর্মকর্তা হেমায়েতুর রহমান বলেন, ‘আমাদের কর্মীরা কাজ করছে। দ্রুত সব অপসারণ হয়ে যাবে।’

আগারগাঁও থেকে খামারবাড়ি

এদিকে সকালের দিকে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ধানমন্ডি ও জিগাতলাসহ বিভিন্ন এলাকার বিভিন্ন স্থানেও গাছপালা পড়ে থাকতে দেখা গেছে। 

এ বিষয়ে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অতিরিক্ত প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা খন্দকার মিল্লাতুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ঝড়ে অনেক বড় বড় গাছ ভেঙে পড়েছে। আমরা অধিকাংশ রাতেই অপসারণ করে ফেলেছি। কিছু কিছু সকালে অপসারণ হয়েছে।’  

উল্লেখ্য, এর আগে রবিবার সন্ধ্যার ঝড়ে বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৮৩ কিলোমিটার, যা এখন পর্যন্ত বছরের সর্বোচ্চ। প্রবল বাতাসে উপড়ে গেছে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানের গাছ। কোনও কোনও এলাকায় গাছ পড়ে সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যায়  রাস্তা।

 ছবি: নাসিরুল ইসলাম