ছাত্র ইউনিয়নের ৬৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত

‘রাষ্ট্রব্যাপী পণ্যদস্যু হাত, বাঁচাও আমার শিক্ষা ধারাপাত’ এই স্লোগানকে ধারণ করে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের ৬৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৬ এপ্রিল) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে এবং বিকালে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে অবস্থিত রাজু ভাস্কর্যে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দিনব্যাপী প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়। আগামীকাল ২৭ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কনভেনশন।

ছাত্র ইউনিয়নের ৬৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীলড়াই সংগ্রামের সুদীর্ঘ ঐতিহ্যবাহী সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ১৯৫২ সালের ২৬ এপ্রিল সমতার সমাজ বিনির্মাণের লক্ষে কার্যক্রম শুরু করে। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের প্রগতিশীল ছাত্রসমাজের অংশগ্রহণে পাকিস্তানি স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর হিসেবে খুব দ্রুতই ছাত্র ইউনিয়ন আত্মপ্রকাশ করে। পরবর্তীতে বাঙালির মুক্তিসংগ্রামের প্রতিটি পালাবদলে এই সংগঠন রেখেছে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা।

৬৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর ছাত্র সমাবেশ উদ্বোধন করেন বরেণ্য প্রাবন্ধিক, কবি ও সাংবাদিক আবুল মোমেন। তিনি বলেন, ‘আমি ৫৩ বছর আগে ছাত্র ইউনিয়নে যোগ দেই এবং আজ পর্যন্ত আমি নিজেকে এর একজন গর্বিত সদস্য মনে করি। এদেশের মুক্তিসংগ্রামের ইতিহাসে ছাত্র ইউনিয়নের ব্যাপক অংশগ্রহণ রয়েছে। বর্তমানের শিক্ষাব্যবস্থায় শিক্ষার্থীরাই পরাধীন। এমনটি হওয়া উচিত নয়। যা করতে আনন্দ লাভ হয় তার মাধ্যমেই শিক্ষাদান করা উচিত।’

উদ্বোধন পরবর্তী ছাত্র সমাবেশে বক্তব্য রাখেন প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন পরিষদের চেয়ারম্যান সুমন সেনগুপ্ত, লিটন নন্দী, জিএম জিলানি শুভ, অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ এবং আবুল মোমেন। উদ্বোধনের পর এক আনন্দ শোভাযাত্রা রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় খেলার মাঠে জমায়েত হয়।

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনের ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অনুষ্ঠিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেবে সাংস্কৃতিক ইউনিয়ন, এফ মাইনর, কৃষ্ণপক্ষ এবং সহজিয়া।