ফারমার্স ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান কারাগারে

মাহবুবুল হক চিশতীফারমার্স ব্যাংকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় ব্যাংকটির অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতী ওরফে বাবুল চিশতীকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৬ এপ্রিল) বিকালে ঢাকা মহানগর হাকিম দেলোয়ার হোসেন আসামির জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর এ আদেশ দেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার চিশতীকে দু’দফা সাত দিনের রিমান্ড শেষে  মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, দুদকের উপপরিচালক মো.সামছুল আলম  ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করেন। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন জানান দুদকের এই কর্মকর্তা।
আসামিপক্ষের আইনজীবী মাহফুজ মিয়া তার (মাহবুবুল হক চিশতী) জামিনের আবেদন করেন। অন্যদিকে দুদকের আইনজীবী মোহাম্মদ আবুল হোসেন জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে জামিন নাকচ করে আসামিকে কারাগারে পাঠানোর এ আদেশ দেন আদালত।
এর আগে, গত ১৯ এপ্রিল কারাগারে পাঠানো অন্য আসামিরা হলেন— ফারমার্স ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতীর ছেলে রাশেদুল হক চিশতী, ব্যাংকটির ফার্স্ট প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ মাসুদুর রহমান খান ও সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট জিয়া উদ্দিন আহমেদ।

এ মামলায় অন্য আসামিরা হলেন— মাহবুবুল হক চিশতীর স্ত্রী রোজী চিশতী এবং ফারমার্স ব্যাংকের গুলশান করপোরেট শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক ও বর্তমান সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট দেলোয়ার হোসেন।

গত ১০ এপ্রিল রাজধানীর গুলশান থানায় মানিল্ডারিং আইনে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ছয়জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করে।

পরে ওইদিনই রাজধানীর সেগুন বাগিচার সেগুন হোটেল থেকে আসামিদের গ্রেফতার করে দুদকের উপপরিচালক মো. সামছুল আলমের নেতৃত্বাধীন একটি দল।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ফারমার্স ব্যাংক লিমিটেডের কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় ব্যাংকের নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে মাহবুবুল হক চিশতী গুলশান শাখায় সঞ্চয়ী হিসাব খুলে বিপুল পরিমাণ অর্থ নগদে ও পে-অর্ডারের মাধ্যমে জমা ও উত্তোলন করেছেন। তিনি বিভিন্ন সময়ে তার স্ত্রী, ছেলে, মেয়েদের ও তাদের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের নামে বিভিন্ন শাখায় মোট ২৫টি হিসাবে বেশিরভাগ অর্থ নগদ ও পে-অর্ডারের মাধ্যমে মোট ১৫৯ কোটি ৯৫ লাখ ৪৯ হাজার ৬৪২ টাকা সন্দেহজনক লেনদেন করেন।