শিক্ষা খাতে জিডিপির ৬ শতাংশ এবং বাজেটে ২০ শতাংশ বরাদ্দের দাবি






সংবাদ সম্মেলনইউনেসকোর সুপারিশ অনুযায়ী শিক্ষা খাতে জিডিপির ছয় শতাংশ এবং জাতীয় বাজেটে ২০ শতাংশ বরাদ্দের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষক সংগ্রাম কমিটির নেতারা। এছাড়া নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও অনার্স-মাস্টার্স কোর্সে পাঠদানকারী শিক্ষকদের এমপিওভুক্ত করা, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারীদের পুর্ণাঙ্গ পেনশন চালু করা, পাঁচ শতাংশ বার্ষিক প্রবৃদ্ধি ও বাংলা নববর্ষ ভাতা দেওয়া ও পুর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতাসহ ১১ দফা দাবি জানিয়েছেন তারা। শনিবার (২৮ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে দাবি আদায়ে কর্মসূচি ঘোষণা করেন শিক্ষক নেতারা। কর্মসূচি অনুযায়ী আগামী ১০ মে সকাল ১১টায় ঢাকাসহ দেশের সব জেলায় মানববন্ধন ও প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য স্মারকলিপি প্রদান এবং ২৫ জুন সকাল ১১টায় ঢাকাসহ সব জেলায় শিক্ষক-কর্মচারী সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হবে।

শিক্ষকদের ১১ দফা দাবির মধ্যে বাকিগুলো হলো শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণ, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষকদের সরকারি শিক্ষকদের সমান বেতন স্কেল দেওয়া, শিক্ষাসংশ্লিষ্ট সব দফতরে বেসরকারি শিক্ষকদের ৩৫ শতাংশ প্রেষণে নিয়োগ, সরকারি প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের চাকরি বিধিমালা বাস্তবায়নের দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে অধ্যক্ষ আসাদুল হক বলেন, ‘শিক্ষামন্ত্রী শিক্ষকদের কটাক্ষ করে কথা বলেন। শিক্ষক নেতাদের গাড়ি ব্যবহার নিয়ে মন্ত্রী কথা বলেন। অনেকের ছেলে, বউ চাকরি করেন। তাদের গাড়ির প্রয়োজন হয়। আপনারা আমাদের নিয়ে কথা বললে আমরাও কিন্তু মুখ খুলবো। আমরাও দেখেছি আগে যারা আগে টেম্পুতে চড়তেন তারা এখন পাজেরো গাড়ি ছাড়া চলেন না।’

জাতীয়করণের দাবি বাস্তবায়িত না হওয়া নিয়ে আসাদুল হক বলেন, ‘আমলারা সরকারকে এটা নিয়ে বিভ্রান্ত করছে। তারা মিসগাইড করছেন। আর সরকারও জাতীয়করণ করতে এই জুজুর ভয় করছে।’

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতির সভাপতি শিক্ষক-কর্মচারী সংগ্রাম কমিটির সমন্বয়কারী অধ্যক্ষ আসাদুল হক, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সভাপতি মুহাম্মদ আবু বকর সিদ্দীক, বাংলাদেশ কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. নুর মোহাম্মদ তালুকদার, বাংলাদেশ কারিগরি কলেজ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি ফকরুদ্দীন জিগার, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মহসীন রেজা, মহাসচিব ইয়াদ আলী খান, শিক্ষক নেতা অধ্যক্ষ এম এ আওয়াল সিদ্দিকী, বিলকিস জামান, সৈয়দ জুলফিকার আলম, মো. আজিুল ইসলাম, মো. আবুল কাশেম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।