কোন বোর্ডে কত পাস

রবিবার সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদদেশের ৮টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে এবার এসএসসিতে পাসের হার ৭৯ দশমিক ৪০ শতাংশ। এছাড়া, কারিগরি বোর্ডে পাসের হার ৭১ দশমিক ৯৬ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছে চার হাজার ৪১৩ জন এবং মাদ্রাসা বোর্ডে পাসের হার ৭০ দশমিক ৮৯ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছে তিন হাজার ৩৭১ জন।

শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ রবিবার (৬ মে) দুপুরে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে ফল তুলে ধরেন। 

ফল থেকে জানা যায়, ১০ বোর্ডে এবার মোট ২০ লাখ ২৬ হাজার শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। পাস করেছে ১৪ লাখ ৪৩ হাজার ৩৮২ জন। এরমধ্যে সাধারণ আট বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছে এক লাখ ২ হাজার ৮৪৫ জন শিক্ষার্থী। 

এ বছর ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ৮১ দশমিক ৪৮ শতাংশ; এরমধ্যে ছাত্র ৭৯ দশমিক ৭৯ শতাংশ এবং ছাত্রী ৮৩ দশমিক ১০ শতাংশ। গতবছর এই বোর্ডের পাসের হার ছিল ৮৫ দশমিক ৭৩। জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৪৯ হাজার ৪৮১ শিক্ষার্থী।

এ বছর যশোর বোর্ডে পাসের হার ৭৬ দশমিক ৬৪ শতাংশ; এরমধ্যে ছাত্র ৭৪ দশমিক ৪৪ শতাংশ, ছাত্রী ৭৮ দশমিক ৮৮ শতাংশ। গতবছর এ বোর্ডে পাসের হার ছিল ৮০ দশমিক ০৪ শতাংশ। আর জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬ হাজার ৪৬৯ শিক্ষার্থী; তাদেরমধ্যে ছাত্র ৩ হাজার ৫২৪ এবং ছাত্রী ২ হাজার ৯৩৬।

রাজশাহী বোর্ডে পাসের হার ৮৬ দশমিক ০৭ শতাংশ; এর মধ্যে ছাত্র ৮৫ দশমিক ১৫ শতাংশ এবং ছাত্রী ৮৭ দশমিক ০৭ শতাংশ। গতবছর এ বোর্ডে পাস করেছিল ৯০ দশমিক ৭০ শতাংশ। আর জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১৭ হাজার ৩৪৯ শিক্ষার্থী।

কুমিল্লা বোর্ডে এ বছর পাসের হার ৮০ দশমিক ৪০ শতাংশ, এরমধ্যে ছাত্র ৮১ দশমিক ২৯ শতাংশ এবং ছাত্রী ৭৯ দশমিক ৬৯ শতাংশ। গত বছর বোর্ডটিতে পাসের হার ছিল ৫৯ দশমিক ০৩ শতাংশ। আর জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৪ হাজার ৪৫০ জন।

দিনাজপুর বোর্ডে এ বছর পাসের হার ৭৭ দশমিক ৬২ শতাংশ। তাদের মধ্যে ছাত্র ৭৫ দশমিক ৮১ শতাংশ এবং ছাত্রী ৭৯ দশমিক ৫৪ শতাংশ। বোর্ডটিতে গত বছর পাসের হার ছিল ৮৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৬ হাজার ৯২৯ জন। 

সিলেট বোর্ডে এ বছর পাসের হার ৭০ দশমিক ৪২ শতাংশ। এরমধ্যে ছাত্র ৭১ দশমিক ৩৩ শতাংশ এবং ছাত্রী ৬৯ দশমিক ৭১ শতাংশ। গতবছর বোর্ডটিতে পাসের হার ছিল ৮০ দশমিক ২৬ শতাংশ। আর জিপিএ-৫ পেয়েছিল ২ হাজার ৬৬৩ শিক্ষার্থী।

চট্টগ্রাম বোর্ডে পাসের হার ৭৫ দশমিক ৫০ শতাংশ। এরমধ্যে ছাত্র পাস করেছে ৭৫ দশমিক ৮৬ শতাংশ এবং ৭৫ দশমিক ১৯ শতাংশ ছাত্রী পাস করেছে। গতবছর বোর্ডটিতে পাসের হার ছিল ৮৩ দশমিক ৯৯ শতাংশ। আর জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৮ হাজার ৩৪৪ জন শিক্ষার্থী। 

এবছর বরিশাল বোর্ডে পাসের হার ৭৭ দশমিক ১১ শতাংশ, ছাত্র পাস করেছে ৭৫ দশমিক ২৩ শতাংশ, ছাত্রী পাস করেছে ৭৯ দশমিক ০২ শতাংশ। গতবছর এই বোর্ডে পাসের হার ছিল ৭৭ দশমিক ২৪ শতাংশ। আর জিপিএ-৫ পেয়েছিল ২ হাজার ২৮৮ শিক্ষার্থী।

এবছর কারিগরি বোর্ডে পাসের হার ৭১ দশমিক ৯৬ শতাংশ; এরমধ্যে ছাত্র পাস করেছে ৭০ দশমিক ৫৭ শতাংশ, ছাত্রী পাস করেছে ৭৬ দশমিক ৩৫ শতাংশ। এবছর জিপিএ-৫ এর সংখ্যা ৪ হাজার ৪১৩।

গতবছর বোর্ডটিতে পাস ছিল ৭৮ দশমিক ৬৯ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছিল ছিল ৪ হাজার ১৭৮ জন। 

এবছর মাদ্রাসা বোর্ডে পাসের হার ৭০ দশমিক ৮৯ শতাংশ; যা গতবার ছিল ৭৬ দশমিক ২০ শতাংশ। এবছর পাস করেছে ছাত্র ৭১ দশমিক ১২ শতাংশ এবং ছাত্রী ৭০ দশমিক ৬৬ শতাংশ। এ বছর বোর্ডটিতে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ হাজার ৩৭১ জন শিক্ষার্থী; গতবছর পেয়েছিল ২ হাজার ৬১০ জন।

পাসের হার কমার ক্ষেত্রে প্রশ্নপত্র ফাঁসের কোনও প্রভাব পড়েনি উল্লেখ করে রবিবার মন্ত্রণালয়ে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘ইতিবাচক দিক হলো পাসের হার কমেছে। আমরা মূল্যায়নের ক্ষেত্রে পরিবর্তন এনেছি। মূল্যায়নে সমতা আনার জন্য এই পরিবর্তন। শিক্ষকরা যাতে ভালো করে খাতা দেখেন; ভালো করে না দেখেই যেন নম্বর না দেন। সেদিক থেকে ভালো করে খাতা দেখার ফলে পাসের হার কমেছে।’