ভুয়া ইঞ্জিনিয়ার সেজে প্রতারণা করে কলেজছাত্রীকে বিয়ে করেন মো. আবুল কালাম শেখ। বিষয়টি জানাজানি হলে ওই ছাত্রী তাকে ডিভোর্স দেন। ডিভোর্সের পর স্বামী-স্ত্রীর অন্তরঙ্গ ভিডিও ফেসবুকে ছেড়ে দেন কালাম।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী একটি মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় কালামকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর সিআইডি জানতে পারে যে সে একজন ভুয়া ইঞ্জিনিয়ার।
এরআগে রবিবার (১৯ মে) তাকে গ্রেফতার করা হয়। সোমবার (২০ মে) রাতে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে সিআইডির পুলিশ সুপার (মিডিয়া) মো. আজাদ রহমান বলেন, বেসরকারি জাহাজের খালাসি হিসেবে কর্মরত কালাম শেখ। সে নিজেকে জাহাজের ইঞ্জিনিয়ার পরিচয় দিয়ে ফেসবুকে এক কলেজছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। বিদেশে থাকাকালে ইংরেজিতে কথাবার্তা বলে মুগ্ধ করে দেশে ফিরে নিজের প্রথম স্ত্রী ও সন্তানের তথ্য গোপন করে ওই কলেজ ছাত্রীকে বিয়ে করেন।
তিনি বলেন, পরে প্রথম স্ত্রী-সন্তানের কথা বলে তাদের সঙ্গে একসঙ্গে ঘর-সংসার করার জন্য ওই ছাত্রীকে মারধর করাসহ নানাভাবে নির্যাতন শুরু করেন। একপর্যায়ে ভিকটিম ডিভোর্স দিলে আসামি কালাম শেখ তার সঙ্গে থাকা অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি ও ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেন। পরে ভুক্তভোগী বাদী হয়ে লালবাগ থানায় মামলা করলে সিআইডি মামলার তদন্ত পায়। সেই মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গ্রেফতার আসামি অষ্টম শ্রেণি পাস করে সমুদ্রগামী জাহাজে খালাসি হিসাবে বিভিন্ন দেশে যাতায়াত করতেন। তার দুই সন্তান ও স্ত্রী বর্তমান থাকার পরও ফেসবুকে কলেজছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেন। পরে ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে ভুক্তভোগীকে বিয়ে করে খুলনা শহরে বাসা ভাড়া করে থাকতে শুরু করেন। একপর্যায়ে নিজের স্ত্রী-সন্তান থাকার কথা স্বীকার করে সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে সংসার করার জন্যে তাকে চাপ দিতে থাকেন। সে আসামির কথায় রাজি না হলে, আসামি ভিকটিমকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতে থাকেন বলে এজাহারে উল্লেখ করেন ওই নারী।