স্বপ্ন সুপারশপকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা ভ্রাম্যমাণ আদালতের

পণ্যের মেয়াদ পরীক্ষা করছেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের সদস্যরাগরুর মাংসের দাম কেজিতে একশ টাকা বেশি রাখা ও মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্যসামগ্রী বিক্রির অভিযোগে স্বপ্ন সুপারশপের বনানী আউটলেটকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। তবে স্বপ্ন কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, ব্যাক স্টোরের ড্যামেজ পণ্য সামনে নিয়ে এসে জরিমানা করা হয়েছে। এ ধরনের আচরণ কাম্য নয় উল্লেখ করে স্বপ্ন কর্তৃপক্ষ সুপারশপ পরিচালনার নীতিমালা করারও দাবি জানিয়েছে।

রবিবার (২০ মে) বেলা সোয়া ১টা থেকে কয়েক ঘণ্টা ওই সুপারশপে অভিযান চালান ভ্রাম্যমাণ আদালত। র‌্যাবের ব্যাটালিয়ন-১ এর আয়োজনে বাহিনীর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম অভিযানে নেতৃত্ব দেন। 

জব্দ করা খেজুরঅভিযান শেষে ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘স্বপ্ন সুপারশপের বনানীর এই আউটলেটে মেয়াদোত্তীর্ণ খাবার বিক্রি করা হচ্ছিল। এরমধ্যে পিৎজাসহ বিভিন্ন ফাস্টফুড তৈরির উপকরণ রয়েছে।’ তিনি আরও জানান, ‘আমদানি করা পণ্যের গায়ে লেখা তারিখ তুলে নতুন করে তারিখ বসানো হয়েছে। সরকারের বেঁধে দেওয়া গরুর মাংস কেজি ৪৫০ টাকা বিক্রির কথা থাকলেও তারা ৫৫০ টাকা দরে বিক্রি করছে।’ একই আউটলেটে ৪৫০ টাকাতেও গরুর মাংস পাওয়া গেলেও তার মান নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।

তবে স্বপ্ন সুপারশপ কর্তৃপক্ষের দাবি, সিটি করপোরেশনের নির্ধারিত দামের গরুর মাংস ওই আউটলেটে ছিল। পাশাপাশি হাড়ছাড়া মাংস ৫৫০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছিল।

ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম বলেন, ‘আউটলেট থেকে মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য জব্দ করে তা ধ্বংস করা হয়েছে। পনের দিন সময় দেওয়া হয়েছে, সব অব্যবস্থাপনা ঠিক না হলে আবারও জরিমানা করা হবে বলে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।’

স্বপ্ন সুপারশপের হেড অব কমিনিউকেশন আফতাবুল করিম তানিম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমাদের ব্যাক স্টোরে রাখা ড্যামেজ পণ্য সামনে নিয়ে এসে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত জরিমানা করেছে। আমাদের ওপর এটা জুলুম করা হয়েছে। এটাকে আমরা স্বেচ্ছাচারিতা ছাড়া আর কিছুই বলবো না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা গরুর মাংস সিটি করপোরেশনের নির্ধারিত দামেই বিক্রি করি। হাড়সহ মাংস ৪৫০ টাকা এবং হাড়ছাড়া মাংস আমরা আলাদা করে ৫৫০ টাকায় বিক্রি করি। গরুর মাংস কয়েক ধরনের আছে। সেটা তারা বিবেচনা না করেই জরিমানা করেছে।’

এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘আমরা যেসব পণ্য ড্যামেজ হিসেবে ব্যাক স্টোরে রেখেছি, সেগুলো তারা সামনে নিয়ে এসে জরিমানা করলো। সুপারশপের কোনও নীতিমালা নেই। আমরা দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছি নীতিমালা করা হোক। তারপর দশ লাখ নয়, ২০ লাখ জরিমানা করুক; আমাদের কোনও আপত্তি নেই।’

আফতাবুল তানিম বলেন, ‘আমাদের সুপারশপগুলোর যে অ্যাসোসিয়েশন রয়েছে, আমরা বসে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবো।’

ভ্রাম্যমাণ আদালত সুপারশপের কাউকে আত্মপক্ষ সমর্থন করারও সুযোগ দেয় না বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।