আরও দুই মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন

খালেদা জিয়াবাংলাদেশের মানচিত্র, জাতীয় পতাকা ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃত ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে জন্মদিন পালনের দুটি পৃথক অভিযোগে দায়ের করা মামলায় হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
মঙ্গলবার (২২ মে) সকালে হাইকোর্টে এই দুই মামলায় জামিন আবেদনের অনুমতি চান খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চের অনুমতি নিয়ে তারা এ জামিন আবেদন দায়ের করেন।
আদালতে অনুমতি চান অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন। তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, অ্যাডভোকেট মাসুদ রানা প্রমুখ।
মাসুদ রানা জানান, অনুমতি নিয়ে আমরা হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় জামিনের আবেদন দায়ের করেছি। বুধবার (২৩ মে) এ বিষয়ে শুনানি হতে পারে।

মানচিত্র, জাতীয় পতাকা ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃত করার অভিযোগ

আদালত সূত্র জানায়, বাংলাদেশের মানচিত্র, জাতীয় পতাকা ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃত করার অভিযোগে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের ৩ নভেম্বর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মানহানির মামলা করেন বাংলাদেশ জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এবি সিদ্দিকী। এ মামলায় ২০১৭ সালের ১২ নভেম্বর খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা ইস্যু করা হয়। এরপর গত ১২ এপ্রিল আইনজীবীরা এ মামলায় তার জামিন চান।  গত ১৭ মে আদালত তৃতীয় দফায় সময় পিছিয়ে আদেশের জন্য আগামী ৫ জুলাই আদেশের জন্য দিন ধার্য করেছেন। এ অবস্থায় তার জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়।

মিথ্যা তথ্য দিয়ে জন্মদিন পালনের অভিযোগ

মিথ্যা তথ্য দিয়ে জন্মদিন পালনের অভিযোগে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গাজী জহিরুল ইসলাম ২০১৬ সালের ৩০ আগস্ট খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করেন। এ মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের ১৭ নভেম্বর গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। এরপর গত ২৫ এপ্রিল এ মামলায় খালেদা জিয়া জামিন চেয়ে আবেদন করেন। কিন্তু জামিন না দিয়ে ১৭ মে শুনানির দিন নির্ধারণ করেন আদালত। পরবর্তীতে ওই তারিখে তার গ্রেফতারি পরোয়ানা কার্যকরের আদেশ দিয়ে ৫ জুলাই জামিন বিষয়ে আদেশের দিন ধার্য করেন। এ অবস্থায় তার জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়।

প্রসঙ্গত, এর আগে গত ২০ মে কুমিল্লা ও নড়াইলের পৃথক তিন মামলায় হাইকোর্টের অনুমতির পর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পক্ষে জামিন আবেদন দাখিল করা হয়েছে। এরমধ্যে দুটি মামলা বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি জেবিএম হাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে।