বাসচাপায় ইসমাইলের থেঁতলানো পায়ের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়নি, অভিযাগে পরিবারের

বাসচাপা

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে বাসচাপায় অনাবিল পরিবহনের চালক ইসমাইল হোসেনের (৪৫) থেঁতলে যাওয়া পা কেটে ফেলতে হবে নাকি পা রেখেই চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়া যাবে সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে পরিবারসূত্রে জানা গেছে। বুধবার (২৪ মে) রাতে ইসমাইল হোসেনের ভাগ্নে সজিব আহমেদ বলেন, ‘চিকিৎসকরা প্রথমে বলেছিলেন পা কেটে ফেলে দিতে হবে। কিন্তু এরপর এখন পর্যন্ত আর কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।’ 

মঙ্গলবার রাতে দুর্ঘটনার পর দু’টি হাসপাতাল ঘুরে এখন রাজধানীর জাতীয় অর্থপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (নিটোর)-তে ভর্তি আছেন ইসমাইল। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন তার পরিবারের সদস্যরা।

আহত ইসমাইলের বোন রানু বেগম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ভাই মঙ্গলবার রাতে ডিউটি শেষে ফেরার পথে বাসচাপায় তার এক পা থেঁতলে যায়। আমরা প্রথমে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে তাকে দেখার পর সেখানকার চিকিৎসকরা তাকে হৃদরোগ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য বলে। হৃদরোগ হাসপাতালের চিকিৎসকেরা তাকে রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালে আনতে বলায় আমরা তাকে এখানে নিয়ে আসি। উনারা আমার রোগীকে ফেলে রেখেছে। পা কেটে ফেলে দেওয়ার কথা বলছে। আমরা চিৎকার করে কথা বলায় ওরা পায়ে কিছুটা ব্যান্ডেজ করে রেখে দিয়েছে। এরপর আর কিছু করেনি।’

তিনি আরও বলেন, ‘এখানকার চিকিৎসকরা তাকে এখন পর্যন্ত (বুধবার বিকাল ৪টা) তেমন কিছু করেনি। তারা কাগজে সই দিতে কয়। কয় যে, পা কাইট্যা ফেলতে হইবো। আমরা বুঝি না কী করা উচিত। রোগী নিয়ে বসে আছি।’

জানা যায়, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার সময় দায়িত্ব পালন শেষে বাড়ি ফেরার পথে যাত্রাবাড়ী ফ্লাইওভারের ওপর রাইদা পরিবহনের বাসের চাপায় বাম পা থেঁতলে যায় ইসমাইল হোসেনের। 

এ ব্যাপারে জাতীয় অর্থপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান নিটোর’র পরিচালক ডা. গণি মোল্লার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে মোবাইল ফোনে পাওয়া যায়নি।