উত্তরায় বিআরটিসি বাসের চাপায় নারীর পা বিচ্ছিন্ন



রাজধানীর উত্তরার আব্দুল্লাপুরে বিআরটিসি বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে আবারও এক নারীর বাম পা বিচ্ছিন্ন হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। আহত ওই নারীর নাম স্বস্তি ইসলাম (৫০)। বৃহস্পতিবার (২৪ মে) সন্ধ্যা পৌনে ৭ টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় স্থানীয় ও পথচারীরা ঘাতক বাসটিকে (ঢাকা মেট্রো ব ১৪-৪৬৪৩) আটক করে।  ঘটনাস্থল থেকে আহত ওই নারীকে উদ্ধার করে প্রথমে উত্তরা আধুনিক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে আহতের স্বজনরা তাকে নিয়ে একটি প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিআরটিসি বাসটি গাজীপুর থেকে আব্দুল্লাপুর মোড়ে এসে থামে। তখন বাস থেকে ওই নারী নামার জন্য এক পা নিচে ফেলতেই বাসটি সামনে টান দেয়। এতে ওই নারী পড়ে যান এবং বাসের চাকা তার পায়ের ওপর উঠে যায়। এতে তার হাঁটু থেকে পা বিচ্ছিন্ন হয়ে ঝুলে যায়। এ ঘটনায় পথচারীরা ও স্থানীয় বেশ কয়েকজন মিলে বাসটি আটক করে এবং চালক ও হেলপারকে গণধোলাই দিলে সেখান থেকে তারা পালিয়ে যায়।
উত্তরা পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরে আলম সিদ্দিক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, এই ঘটনায় ঘাতক বিআরটিসি বাসটি জব্দ করা হয়েছে। তবে বাসের চালক ও হেলপার পালিয়ে গেছে। বাসের চালক ও হেলপারকে আটকের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
ভুক্তভোগী নারীর মেয়ে জামাতা প্লাবন জানান, বিআরটিসি বাস চাপায় আমার শাশুড়ির এক পা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। বর্তমানে তিনি অপারেশন থিয়েটারে আছেন। জানা গেছে, ভুক্তভোগী ওই নারী উত্তরা ৯ নম্বর সেক্টরের ৩৩ নম্বর সড়কের ২০ নম্বর বাসায় বসবাস করেন।
উল্লেখ্য, বেপরোয়াভাবে বাস চালানোর কারণে আজ বৃহস্পতিবার বগুড়ার নন্দীগ্রাম এলাকায় বাস দুর্ঘটনা কবলিত হয়ে আনিসুর রহমান নামে এক যাত্রীর এক হাত শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এরও আগে রাজীব হোসেন নামে তিতুমীর কলেজের এক ছাত্রের হাত দুই বাসের বেপরোয়া প্রতিযোগিতায় চাপা লেগে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। চিকিৎসাধনি অবস্তায় তার মৃত্যু হয়। এছাড়াও মাগুরায় এক বাসের হেলপার ও রাজধানতে রোজিনা নামে আরেক নারী বাসের চাপায় পা হারান। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোজিনারও মৃত্যু হয়।