বিআরটিসি ও স্বজন পরিবহনের দুই চালকের জামিন নামঞ্জুর





রাজীব হোসেন। গত ৩ এপ্রিল রাজধানীতে দুই বাসের চাপায় এক হাত বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৬ এপ্রিল মৃত্যু হয় তার।রাজধানীর কাওরান বাজারে দুই বাসের পাল্লায় তিতুমীর কলেজের ছাত্র রাজীব হোসেনের হাত ছিন্ন হওয়া এবং পরবর্তীতে তার মারা যাওয়া ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আবারও দুই বাসের চালকদের জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (২৪ মে) ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক লস্কর সোহেল রানা উভয় পক্ষের শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
আদালতের সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআর) মাহমুদুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে এই তথ্য জানান।
আসামি পক্ষে জামিন শুনানি করেন আইনজীবী হেলাল উদ্দিন পটোয়ারী। তিনি শুনানিতে বলেন, ‘মামলাটি জামিনযোগ্য ধারায়। আসামিদের আইন অনুযায়ী জামিন পাওয়ার অধিকার রয়েছে। জামিনযোগ্য ধারায় জামিন না দেওয়ায় আইনের ব্যত্যয় ঘটায়।’ তিনি বলেন, ‘এই আসামিদের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালত থেকে কোনও নির্দেশনা নেই। ক্ষতিপূরণ বিষয়ে মালিক পক্ষকে নির্দেশনা দিয়েছেন উচ্চ আদালত।’
গত ৩ এপ্রিল বিআরটিসি’র একটি দোতলা বাসের পেছনের ফটকে দাঁড়িয়ে গন্তব্যে যাচ্ছিলেন রাজীব হোসেন। তখন তার ডান হাতটি বাসের গেটের বাইরে বেরিয়ে ছিল। এ সময় স্বজন পরিবহনের বাসটি পেছন থেকে বিআরটিসির বাসটিকে পেরিয়ে যাওয়ার জন্য ওভারটেক করার চেষ্টা করে। দুই বাসের প্রবল চাপে রাজীবের হাতটি শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং দুই বাসের মাঝখানে ঝুলে থাকে।
এবং গত ১৭ এপ্রিল ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় রাজীব মারা যান।
এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় দুই বাসের চালক বিআরটিসির ওয়াহিদ (৩৫) ও স্বজন পরিবহনের বাসের খোরশেদ (৫০) কারাগারে আছে।