বাজেটে শিক্ষা খাতে সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ চায় শিশুরা






সংবাদ সম্মেলনআসন্ন জাতীয় বাজেটে শিক্ষা খাতে সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ চায় শিশুরা। এ লক্ষ্যে তারা এ খাতে দক্ষ জনবল নিয়োগের দাবি জানিয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৪ মে) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে শিশুদের জন্য এসব সুপারিশ তুলে ধরে সেভ দ্য চিলড্রেন।
সেভ দ্য চিলড্রেন জানায়, এ বছরের শুরু থেকেই জাতীয় বাজেট ২০১৮-১৯ নিয়ে সারাদেশের শিশুরা তাদের মতামত জানিয়েছে। সেভ দ্য চিলড্রেন ও প্ল্যান ইন্টারন্যাশনালের সহায়তায় শিশু সংগঠন ন্যাশনাল চিলড্রেন’স টাস্ক ফোর্স (এনসিটিএফ) সারাদেশের ৪ হাজার ৮০০ শিশুর বাজেট ভাবনা সংকলন ও উপস্থাপনের কাজটি করে।
সংবাদ সম্মেলনে শিশুদের প্রতিনিধিরা বলে, শিক্ষা খাতে সবচেয়ে বেশি বাজেট বরাদ্দের প্রয়োজন আছে। শিক্ষা খাতে দক্ষ জনবল নিয়োগ ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য বাজেট বরাদ্দ জরুরি। এছাড়া শিক্ষা ব্যবস্থায় এতিম, দরিদ্র, প্রতিবন্ধী ও শ্রমে নিয়োজিত শিশুরা যাতে সমান অধিকার পায় তার ব্যবস্থা নিতে হবে।
এর পাশাপাশি মাদক গ্রহণ ও বাল্যবিবাহ নিয়ে বিশেষ উদ্বেগ প্রকাশ করে এসব প্রতিরোধে গণসচেতনতা তৈরির আহবান জানায় তারা। বিদ্যালয়, রাস্তাঘাট, প্রতিষ্ঠান, পরিবারসহ সব ক্ষেত্রে সব রকম সহিংসতা থেকে সুরক্ষার পাশাপাশি অনলাইনেও নিরাপত্তা নিশ্চিত করে শিশুদের অনলাইনে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিশেষ প্রকল্প গ্রহণ করার প্রয়োজন বলে উল্লেখ করে শিশুদের প্রতিনিধিরা।

শিশুদের প্রতিনিধি শাফায়েত জামিল বলে, ‘বিশেষ কিছু খাতে গুরুত্ব দিয়ে আমরা সরকারকে কিছু প্রকল্প গ্রহণের প্রস্তাব দিয়েছি। যাতে শিশুদের অধিকার বাস্তবায়নে সরকার উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারে।’

সংবাদ সম্মেলনে শিশুদের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিল ফারিয়া মেহজাবীন, মোহাম্মদ জাহিদ হোসেন, ফেরদৌস নাইম, মারিয়াম আখতার, তাইফা বারী, ইয়াসমিন আখতার, শাফায়েত জামিল ও সুমাইয়া আখতার।

উল্লেখ্য, জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদের (ইউএনসিআরসি) সাধারণ মন্তব্য ১৯ (২০১৬)-এ শিশুদের অধিকার বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় বাজেট বরাদ্দ এবং তা প্রয়োগের জন্য সরকারগুলোর প্রতি সুপারিশ করা হয়েছে। এছাড়া বাজেট প্রক্রিয়ায় শিশুর অংশগ্রহণ উৎসাহিত করার প্রতিও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ২০০৩ সাল থেকে শিশুদের প্রতি যৌন নির্যাতন, বঞ্চনা ও পাচার বিষয়ে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের অগ্রগতি পরিবীক্ষণ করে আসছে এনসিটিএফ। বর্তমানে সারাদেশের শিশু অধিকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও তা নিয়ে নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে দাবি বাস্তবায়নের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সংগঠনটি।