প্রাইভেট কারে তুলে তরুণীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে একজন আটক

মাহামুদুল হক রনি

রাজধানীর কলেজ গেট এলাকায় তরুণীকে জোর করে প্রাইভেট কারে তুলে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে কারটির মালিক মাহামুদুল হক রনিকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে পথচারীরা। শেরেবাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিজি বিশ্বাস এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আটক রনিকে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এছাড়া সঠিক তথ্যের জন্য ভুক্তভোগী দুই তরুণীকে থানায় আনা হচ্ছে। 

এ প্রসঙ্গে ওসি আরও বলেন, ‘তরুণীদের সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। অভিযুক্ত রনিকে আটক ও তার প্রাইভেট কারটিও জব্দ করা হয়েছে।’    

গাড়ি থেকে নামানো হচ্ছে রনিকে

রনির কাছ থেকে প্রাথমিকভাবে পাওয়া তথ্যের ব্যাপারে ওসি জিজি বিশ্বাস জানান, রনি পেশায় একজন ব্যবসায়ী। তার বাসা জিগাতলায়। সেখানে তিনি পরিবার নিয়ে থাকেন। তার গ্রামের বাড়ি গাজীপুরের কাপাসিয়ায়। তিনি একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে স্নাতক। তবে তিনি এই ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।   


এই সেই গাড়ি

এর আগে শনিবার (৯ জুন) রাতে রনি ও তার ড্রাইভার একটি মেয়েকে জোর করে তাদের প্রাইভেট কারে তুলে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় বলে অভিযোগ উঠেছে। এ সময় রাস্তায় থাকা লোকজন বিষয়টি টের পেয়ে কলেজ গেট এলাকায় প্রাইভেট কারটি আটক করে। পরে সেখান থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করে এবং রনি ও তার ড্রাইভারকে গণপিটুনি দেয় পথচারীরা। একপর্যায়ে প্রাইভেটকারের ড্রাইভার পালিয়ে গেলেও রনিকে আটক করে পুলিশ। এই ঘটনার ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে তা ভাইরাল হয়ে যায় এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি হয়।