তিন ঘণ্টা পর রওনা হলো মেঘনার চরে আটকা লঞ্চ

মেসার্স পানামা শিপিং লাইন্স

৩৫০ জন যাত্রী নিয়ে মেঘনা নদীর একটি চরে বৃহস্পতিবার (১৪ জুন) রাত সাড়ে ৮টার দিকে আটকা পড়ে নোয়াখালীর হাতিয়াগামী ঈদের স্পেশাল লঞ্চ ‘মেসার্স পানামা শিপিং লাইন্স’। তিন ঘণ্টা সেখানেই আটকে থাকার পর জোয়ার এলে ছাড়া পায় লঞ্চটি। এরপর এটি গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা হয়। এদিন সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকার সদরঘাট থেকে যাত্রা শুরু করে রাত সাড়ে ৮টার দিকে ভোলার তজুমদ্দিন সংলগ্ন মেঘনার একটি চরে লঞ্চটি আটকে যায়। এতে যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েন।

লঞ্চের একাধিক যাত্রী জানিয়েছেন, জোয়ার আসার পর লঞ্চটি ফের যাত্রা শুরু করে।
এ ব্যাপারে লঞ্চটির ম্যানেজার ওমর ফারুক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘নদীতে পানি কম থাকায় লঞ্চ আটকে যায়।’ তবে যাত্রীদের অভিযোগ, চালক একটি ডুবোচরে লঞ্চ তুলে দিলে তা আটকে পড়ে। এতে জিপিএস, কম্পাস এবং সার্চ লাইটসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম নেই। এমনকি, লঞ্চটির ফিটনেস সার্টিফিকেটও নেই। এ ছাড়া, কেবিনসহ সব শ্রেণির আসনে অন্যান্য সময়ের তুলনায় দ্বিগুণের বেশি ভাড়া আদায় করা হয়েছে।

জুয়েল রানা নামে হাতিয়াগামী একজন যাত্রী বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, লঞ্চটি কালিগঞ্জ, ইলিশা বিশ্বরোড় ও তজুমদ্দিনের চৌমহনি ঘাট পার হয়ে রামফরহাদের কাছে এসে একটি ডুবো চরের ওপর আটকা পড়েছে।

তিনি অভিযোগ করেন, ‘১৫০ টাকা ডেকের ভাড়া নিয়েছে ৩৫০ টাকা। লঞ্চটি খুব ধীরগতিতে চালানো হয়েছে। আটকে যাওয়ার পর যাত্রীরা ক্ষিপ্ত হয়ে পড়লে চালক তার কক্ষ ছেড়ে পালিয়ে যান। লঞ্চটিতে মাত্র ৯ জন স্টাফ আছেন।’

রাত ১০টার দিকে যোগাযোগ করা হলে লঞ্চের ম্যানেজার ওমর ফারুক বলেন, ‘এখনও লঞ্চ আটকে আছে। জোয়ার এলে লঞ্চ ছাড়বে। তবে কখন জোয়ার আসবে আর কখন লঞ্চ ছাড়বে তা আমি কী করে বলবো।’ বেশি ভাড়া আদায় ও ফিটনেস না থাকাসহ অন্যান্য অভিযোগের ব্যাপারে তিনি কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি।