বিশ্বজিৎ হত্যা মামলায় আত্মসমর্পণের পর যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি কারাগারে





বিশ্বজিৎ হত্যা মামলা

বিশ্বজিৎ দাস হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি তারিক বিন জোহর ওরফে তমালকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। সে শুরু থেকে পলাতক ছিল । সোমবার (২৫ জুন) দুপুরে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪-এর বিচারক আবদুর রহমান সরদারের আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী আবুল কালাম বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য জানান।
আসামি পক্ষে জামিন শুনানি করেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট জহিরুল আমিন খান।
মামলা বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর বিএনপিসহ বিরোধী দলের অবরোধ কর্মসূচি চলার সময় আসামিরা পুরান ঢাকার ভিক্টোরিয়া পার্কের সামনে দর্জি দোকানি বিশ্বজিৎ দাসকে নির্মমভাবে চাপাতির কোপ, লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে ও কিল-ঘুষিতে মারাত্মক আহত করেন। এতে ঘটনার দিনই তিনি মারা যান।
হত্যাকাণ্ডের ২ মাস ২৪ দিন পর ২১ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক তাজুল ইসলাম।
২০১৩ সালের ২ জুন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে চার্জ গঠন করেন।
২০১৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর মামলাটিতে বিচারিক আদালত রায় ঘোষণা করেন। মামলাটিতে ছাত্রলীগ নেতা রফিকুল ইসলাম শাকিল ওরফে চাপাতি শাকিলসহ ৮ আসামির মৃত্যুদণ্ড এবং অন্য ১৩ আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।
ওই ঘটনায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলো রফিকুল ইসলাম শাকিল (চাপাতি শাকিল), মাহফুজুর রহমান নাহিদ, এমদাদুল হক এমদাদ, জিএম রাশেদুজ্জামান শাওন, কাইউম মিয়া টিপু, সাইফুল ইসলাম, রাজন তালুকদার ও মীর মো. নূরে আলম লিমন।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলো এইচ এম কিবরিয়া, গোলাম মোস্তফা, খন্দকার মো. ইউনুস আলী, তারিক বিন জোহর তমাল, আলাউদ্দিন, ওবায়দুর কাদের তাহসিন, ইমরান হোসেন ইমরান, আজিজুর রহমান আজিজ, আল-আমিন শেখ, রফিকুল ইসলাম, মনিরুল হক পাভেল, কামরুল হাসান ও মোশারফ হোসেন।