জন্ডিস উপদ্রুত এলাকায় চট্টগ্রাম ওয়াসার পানি পরীক্ষার নির্দেশ আদালতের


চট্টগ্রাম ওয়াসা
জন্ডিস উপদ্রুত এলাকায় চট্টগ্রাম ওয়াসার পানিতে হেপাইটাইটিস-ই ভাইরাস আছে কিনা তা পরীক্ষা করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এক মাসের মধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে কমিটি গঠন করে পানি পরীক্ষা করে ৯০ দিনের মধ্যে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে। এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রবিবার (০৮ জুলাই) বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো.আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিক হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।

আদেশে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে স্থানীয় প্রশাসনের দুইজন এবং একজন  বিশেষজ্ঞসহ মোট তিনজনের সমন্বয়ে ওই কমিটি গঠন করার কথা বলেন আদালত।

এছাড়াও সাম্প্রতিক সময়ে চট্টগ্রাম সিটির জনগণের জীবন রক্ষায় ব্যাকটেরিয়ামুক্ত পানি সরবরাহে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, নিরাপদ পানি সরবরাহের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং জন্ডিসে আক্রান্ত ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক, চট্টগ্রাম ওয়াসার চেয়ারম্যান, চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ও প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন রিটকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার মহিউদ্দিন মো. হানিফ। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একরামুল হক টুটুল।
পরে ব্যারিস্টার মহিউদ্দিন মো. হানিফ সাংবাদিকদের বলেন, চট্টগ্রামের হালিশহরে জন্ডিসের প্রকোপ নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত ওইসব প্রতিবেদনে বলা হয়, পানিবাহিত রোগ জন্ডিসের প্রাদুর্ভাবে চরম উৎকণ্ঠায় আছেন সেখানকার বাসিন্দারা। আড়াই মাস আগে থেকে এই সমস্যার সৃষ্টি হলেও সংকট উত্তরণে স্বাস্থ্য বিভাগ ও চট্টগ্রাম ওয়াসা সমন্বিতভাবে কোনও উদ্যোগ গ্রহণ করেনি বলে অভিযোগ আগ্রাবাদ ও হালিশহর এলাকার বাসিন্দাদের। এর মধ্যে নতুন খবর এসেছে, আগ্রাবাদ এলাকার একটি রোগ নির্ণয় কেন্দ্রে গত দুই মাসে আরও ২২৮ জন জন্ডিস রোগী শনাক্ত হয়েছে। এই নিয়ে হালিশহরে এখন পর্যন্ত জন্ডিসে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬২৪ জনে। বিভিন্ন দৈনিকে জন্ডিসের প্রকোপের প্রতিবেদনগুলো যুক্ত করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করি। সে রিটের শুনানি নিয়ে আদালত রুলসহ অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দিয়েছেন।