দিল্লিতে আসছি, সংবাদ সম্মেলনও করবো: বাংলা ট্রিবিউনকে লর্ড কার্লাইল

লর্ড কার্লাইল (ছবি- সংগৃহীত)সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে খালেদা জিয়ার ব্রিটিশ আইনজীবী লর্ড কার্লাইল জানিয়ে দিলেন, তিনি এ সপ্তাহেই দিল্লিতে আসছেন এবং ভারতের রাজধানীতে সংবাদ সম্মেলনও করবেন।

মঙ্গলবার (১০ জুলাই) সকালে বাংলা ট্রিবিউনকে পাঠানো এক সংক্ষিপ্ত বার্তায় (এসএমএস) তিনি লিখেছেন, ‘আমি দিল্লিতে আসছি। সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে বৃহস্পতিবার (১২ জুলাই)। কোথায়, কটার সময় হবে সেগুলো যথাসময়ে জানিয়ে দেবো।’
তার দিল্লিতে আসা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে বলে বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের একাংশে খবর প্রকাশিত হয়েছিল। এ ব্যাপারে তার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে লর্ড কার্লাইল জবাবে এই বার্তাটি পাঠান।
তবে দিল্লির মথুরা রোডে অবস্থিত ফরেন করেসপন্ডেন্টস ক্লাবে (এফসিসি) ১৩ জুলাই তার সংবাদ সম্মেলন হবে বলে আগে যে তারিখ নির্ধারিত ছিল, তা নিশ্চিতভাবেই বাতিল হয়ে গেছে।

ফলে লর্ড কার্লাইল ও তার সহযোগীদের দিল্লিতেই এখন অন্য বিকল্প ভেন্যুর সন্ধান করতে হচ্ছে।
নির্ধারিত সংবাদ সম্মেলনের দিনক্ষণও একদিন এগিয়ে আনা হয়েছে– ১৩ জুলাইয়ের পরিবর্তে তা এখন ১২ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে বলে নির্ধারণ করা হয়েছে।
এফসিসি কর্তৃপক্ষ বলছেন, ১৩ জুলাই তাদের ক্লাবে দিল্লিতে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত একটি গুরুত্বপূর্ণ সভায় যোগ দিতে আসছেন বলেই তারা লর্ড কার্লাইলকে ওই তারিখে বুকিং দিতে পারছেন না।
তারা আরও জানিয়েছেন, লর্ড কার্লাইলকে ১৩ জুলাই শুধু ‘টেন্টেটিভ’ (প্রাথমিক) বুকিং দেওয়া হয়েছিল মাত্র, কখনও তা ‘ফাইনালাইজড’ (চূড়ান্ত) করা হয়নি।
তবে সেই টেন্টেটিভ বুকিং বাতিল করার পেছনে কখনও কোনও ‘রাজনৈতিক চাপ’ ছিল না বলেও তারা দাবি করেছেন।
এর আগে গত সপ্তাহে লর্ড কার্লাইল ঘোষণা করেছিলেন, বাংলাদেশে বিরোধীদলীয় নেত্রী খালেদা জিয়াকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে কীভাবে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ‘মিথ্যা মামলা’য় ফাঁসানো হয়েছে তা ব্যাখ্যা করতে তিনি দিল্লি আসবেন।

এই সংবাদ সম্মেলনটি তার ঢাকাতেই করার ইচ্ছা থাকলেও বাংলাদেশ তার ভিসার আবেদন অনির্দিষ্টকাল ধরে ঝুলিয়ে রাখায় বাধ্য হয়েই তিনি দিল্লিকে বেছে নিচ্ছেন বলে জানান লর্ড কার্লাইল।
কিন্তু ভারতের প্ল্যাটফর্মকে ব্যবহার করে খালেদা জিয়ার আইনজীবী একটি রাজনৈতিক ক্যাম্পেইন চালাবেন ও বাংলাদেশ সরকারকে আক্রমণ করবেন– এটা ঢাকা কখনও পছন্দ করেনি।
এর আগে গত মার্চ মাসে ঢাকায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঘোষণা করেছিলেন, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় কারাবন্দি খালেদা জিয়ার অন্যতম আইনজীবী হিসেবে প্রবীণ ব্রিটিশ লর্ড ও বিশিষ্ট আইনজ্ঞ লর্ড কার্লাইলকে নিয়োগ করা হয়েছে।
তারপর থেকে লর্ড কার্লাইল বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খালেদা জিয়ার মামলা নিয়ে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন ঠিকই– কিন্তু বাংলাদেশের আদালতে খালেদা জিয়ার হয়ে মামলা লড়ার জন্য আসতে চাইলেও তার জন্য ভিসা পাননি।