গ্রেফতারকৃতরা হলো- মো. আদনান তালুকদার ওরফে আল আমিন (৪০), খন্দকার মো. আলমগীর হোসেন ওরফে মাসুম (৪৩), জহুরুল হক (৪২), সৈয়দ শাহরিয়ার সোহাগ (৩২), খালেদ মাহমুদ (৩২), রহমত উল্লাহ (২১), হাফিজুর রহমান (২৯), ইনছান আলী (৩৭), সিরাজুল ইসলাম (৩৫), নাদিম উদ্দিন (৩১), মেহেদি হাসান (২১), হানিফ কাজী (৪৫) ও মামুনুর রশিদ (৩৮)।
এসএসপি মোল্যা নজরুল ইসলাম জানান, বুধবার রাতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতারকচক্রের ১৩ সদস্যকে গ্রেফতার করে সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম ইউনিট। এই চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে লোভনীয় বেতনে উচ্চপদে চাকরি দেওয়ার নামে শত শত মানুষের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। চাকরির আবেদনকারীদের বিশ্বাস অর্জনের জন্য তারা দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে রাজধানীতে অফিস খোলার পর আকর্ষণীয় ডেকোরেশন করে। একই সঙ্গে তারা কোম্পানির ওয়েবসাইট চালু করে এবং বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রচারণা চালায়। এরপর আগ্রহীরা যোগাযোগ করলে তাদের ইন্টারভিউ নেওয়ার নাটক করে সবাইকে চাকরি দেয়। এরপর তাদের কাছ থেকে সিকিউরিটি মানি বাবদ লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। পরে নির্ধারিত তারিখে তারা অফিসে তালা দিয়ে পালিয়ে যায়।
তিনি বলেন, এই চক্রটি মূলত অবসরপ্রাপ্ত সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবীদের টার্গেট করে। চক্রটি তিন-চার মাস পর পর তাদের অবস্থান পরিবর্তন করে। বিভিন্ন নামে অফিস খুলে চাকরি দেওয়ার লোভ দেখিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে তারা।
তিনি আরও বলেন, এই চক্রের সদস্যদের বিরুদ্ধে প্রতারণার দায়ে ৮টি মামলা পাওয়া গেছে। এর আগে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণার দায়ে র্যাব তাদের গ্রেফতার হয়েছিল। তাদের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা হয়েছে এবং মানি লন্ডারিং আইনে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।