ঢাবির ১৪ বিভাগে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন

 



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কোটা সংষ্কার আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার বিচার ও আটককৃতদের মুক্তির দাবিতে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ১৪টি বিভাগের শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (১২ জুলাই) বিভিন্ন বিভাগে খোঁজ নিয়ে এ তথ্য জানা যায়।



গতকাল বুধবার (১১ জুলাই) দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ডাক দেয় বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ।
জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তত ১৪টি বিভাগের শিক্ষার্থীরা ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করেছেন। তারা অনির্দিষ্টকালের জন্য এ কর্মসূচি অব্যাহত রাখবেন বলে জানিয়েছেন।
সমাজবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ও কোটা সংস্কার আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক মশিউর রহমানের মুক্তির দাবিতে ক্লাস পরীক্ষা বন্ধ রেখেছেন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। একই দাবিতে গত বুধবার (৪ জুলাই) বিভাগের কলাপসিবল গেটে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ ও ক্লাস চলাকালীন সময়ে অবস্থান কর্মসূচি করার ঘোষণা দেয় ওই বিভাগের শিক্ষার্থীরা ।
যেসব বিভাগে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন চলছে সেসব বিভাগ হলো যোগাযোগ বৈকল্য বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষ; শান্তি ও সংঘর্ষ বিভাগ (মাস্টার্স), উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগ (চতুর্থ বর্ষ), বাংলা বিভাগ, আরবি সাহিত্য বিভাগ, আইন অনুষদভুক্ত আইন বিভাগ, জীববিজ্ঞান অনুষদভুক্ত অণুজীববিজ্ঞান বিভাগ, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদভুক্ত ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগ, মার্কেটিং বিভাগ, অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস ও ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ, আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস অনুষদভুক্ত দুর্যোগ বিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিভাগ এবং সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করেছে বলে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে।
সমাজবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমাদের বন্ধু মশিউরকে কোটা সংষ্কার আন্দোলনে যুক্ত থাকায় ছাত্রলীগ হল থেকে ধরে নিয়ে গেছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ ঘটনার কিছুই জানে না। প্রশাসন অভিভাবকের মতো আচরণ করছে না। অন্যায়ভাবে তাকে রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করা হচ্ছে। আমরা চাই মশিউরকে ছাড়া ক্লাসে ফিরব না। তাকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়া হোক।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক একেএম গোলাম রব্বানী বলেন, ‘আমি যতটুকু জানি বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিভাগেই ক্লাস হয়েছে। তবে যে বিভাগগুলোতে ক্লাস হয়নি সেসব বিভাগের শিক্ষার্থীদের বলবো, দাবি-দাওয়া থাকলে বিভাগের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে উত্থাপন করবেন। আমরা বসে সেটার সমাধান করবো। ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করা কোনও সমস্যার সমাধান নয়। এতে শিক্ষার্থীরাই পিছিয়ে পড়বে।’