নারীদের যে দেশেই পাঠানো হোক না কেন মনিটরিং করতে হবে: সুমাইয়া ইসলাম

 


সুমাইয়া ইসলামবাংলাদেশ থেকে যে দেশেই নারী শ্রমিকদের পাঠানো হোক না কেন তাদের খোঁজ-খবর নিতে সবসময় মনিটরিং করতে হবে বলে মত দিয়েছেন অভিবাসী মহিলা শ্রমিক অ্যাসোসিয়েশনের (বোমসা) পরিচালক সুমাইয়া ইসলাম। বাংলা ট্রিবিউনের আয়োজনে ‘ফেরত আসছে নারী শ্রমিক শীর্ষক’ বৈঠকিতে তিনি এ মত দেন।
বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৪টায় রাজধানীর শুক্রাবাদে বাংলা ট্রিবিউন স্টুডিও থেকে এ আয়োজন সরাসরি সম্প্রচার করে এটিএন নিউজ।
সুমাইয়া ইসলাম বলেন, ‘আমাদের বার্গেনিং করার সুযোগ আছে। তাদের (সৌদি আরব) বলতে হবে তোমরা যদি সমস্যা করো তাহলে আমরা শ্রমিক দেবো না। আর যেসব সমস্যা আছে সেগুলোর সমাধান করতে হবে। মেয়েদের সে দেশে গিয়ে খাবারের সমস্যা হলে এটাও যাবার আগে ট্রেনিং করাতে হবে। দুই লাখ নারী বাইরে থাকেন, তারা দুই হাজার করেও টাকা পাঠায়, সেই রেমিটেন্স দেশে আসছে। তাহলে কেন তাদের দেখভাল করা হবে না। এজন্য যে দেশেই পাঠানো হোক না কেন মনিটরিং করতে হবে। অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘গতকালও দুজন দেশে ফিরেছেন জর্ডার ও সৌদি আবর থেকে। একজনের পিঠে এমনভাবে টর্চার করেছে, পিঠে বুট জুতা দিয়ে পিটিয়েছে। বেল্ট খুলে পিটিয়েছে। আরেকটি মেয়ে জানালো সৌদি আরবে অ্যারাবিয়ান একজন মহিলা, সে এখন থেকে একটা মেয়েকে নিয়েছে। দিনের বেলায় তার বাসায় কাজ করে, রাতে সে অ্যারাবিয়ান সাত-আটজনকে নিয়ে আসে। এ ব্যবসা সে ছয়/সাত মাস ধরে করেছে। যখন মেয়েটি খুব অসুস্থ হয়ে গেছে, তখন পালিয়ে আসছে। সেখানে বাঙালি একটা মেয়ে তাকে শেল্টার দিয়েছে। তারপর সেখান থেকে আইনি সহায়তা নিয়ে ফিরে আসছে। বাসা-বাড়ির কাজে নাম করে তারা এসব ব্যবসা খুলে বসছে। তারপরও বেতন দেয় না।’
মুন্নী সাহার সঞ্চালনায় বৈঠকিতে আরও অংশ নেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মো. ইসরাফিল আলম, ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম হেড শরিফুল হাসান,বায়রা’র সাবেক যুগ্ম মহাসচিব শামীম আহমেদ চৌধুরী নোমান, সৌদি আরব ফেরত নারী শ্রমিক জেসমিন আক্তার এবং বাংলা ট্রিবিউনের বিশেষ প্রতিনিধি শেখ শাহরিয়ার জামান।