র্যাব-১ অধিনায়ক বলেন, ‘রবিবার রাত থেকে একাধিক অভিযানে প্রথমে সোহাগ, জুবায়েরসহ চারজনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের দেওয়া তথ্য ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বরগুনা থেকে মাসুমকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে বরগুনা থেকে ঢাকায় আনা হচ্ছে।’
র্যাব ও সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দুর্ঘটনার সময় ঘটনাস্থলে তিনটি বাস প্রতিযোগিতা করে আগে যাত্রী তোলার চেষ্টা করে। তিনটি বাসই ছিল জাবালে নূর পরিবহনের। ঢাকা মেট্রো ব ১১-৯২৯৭ নম্বরের বাসটি শিক্ষার্থীদের চাপা দিয়েছিল। দুর্ঘটনার সময় ওই বাসটির চালকের আসনে ছিল মাসুম বিল্লাহ। দুর্ঘটনার পরপরই সে বাস থেকে নেমে পালিয়ে যায়। দুই শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হলে রাতেই বরগুনায় চলে যায় সে। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় র্যাব ১-এর একটি দল তার অবস্থান শনাক্তের পর বরগুনা থেকে তাকে গ্রেফতার করে।
এদিকে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, চাপা দেওয়া বাসটির চালকের সহযোগী ছিল এনায়েত। ঘটনার পরপরই বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা তাকে আটক করে। এদিকে র্যাব ১-এর অভিযানিক দল শনিবার রাতে অভিযান চালিয়ে মিরপুর এলাকা থেকে দুর্ঘটনার সময় জাবালে নূরের অন্য বাসের (ঢাকা মেট্রো ব ১১-৭৬৫৭) চালক জুবায়ের ও ঢাকা মেট্রো ব ১১-৭৫৮০ নম্বর বাসের চালক সোহাগকে গ্রেফতার করে। এছাড়া চালক সোহাগের সহযোগী রিপনকেও গ্রেফতার করা হয়।
উল্লেখ্য, রবিবার (২৯ জুলাই) দুপুর সোয়া ১২টার দিকে বিমানবন্দর সড়কে র্যাডিসন হোটেলের বিপরীতে কালশী থেকে বিমানবন্দরগামী জাবালে নূর পরিবহনের একাধিক বাস প্রতিযোগিতা করে যাত্রী তুলতে গিয়ে পথচারী ও শিক্ষার্থীদের চাপা দেয়। এতে শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী দিয়া খানম মীম ও দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আব্দুল করিম রাজীব নিহত হন। এছাড়া আরও অন্তত ১২ শিক্ষার্থী আহত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় রবিবার রাতেই ক্যান্টনমেন্ট থানায় নিহত শিক্ষার্থী দিয়া খানম মীমের বাবা জাহাঙ্গীর আলম একটি মামলা দায়ের করেন।