শহিদুল আলমের সব বক্তব্যের সঙ্গে আমি একমত নই: সুলতানা কামাল

সুলতানা কামালমানবাধিকারকর্মী ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা সুলতানা কামাল বলেছেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে গণমাধ্যমে দেওয়া শহিদুল আলমের সব বক্তব্যের সঙ্গে একমত নই। এখানে যারা আছেন, তারাও সম্পূর্ণভাবে একমত নাও হতে পারেন। কিছু কিছু বক্তব্যের সঙ্গে আমরা একমত হতেও পারি। বৃহস্পতিবার (৯ আগস্ট) বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে হিউম্যান রাইটস ফোরাম বাংলাদেশ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সুলতানা কামাল বলেন, ‘আমাদের দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতিদিন গড়ে ১৫ জন করে মারা যায় এবং আমাদের যে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, তার যে অভিজ্ঞতা, আমাদের সেখানে কি অব্যবস্থাপনা নাই? সেখানে কি উদাসীনতা নাই? সেখানে কি কর্তব্যে অবহেলা নাই? অযোগ্যতা নাই? সেখানে দুর্নীতি নাই? এই কথাগুলো যদি আমরা বলি, সেটার জন্য যদি আমাদের ধরে নিয়ে মারধর করার মতো একটা ব্যাপার হয়, তাহলে শঙ্কিত হওয়ার প্রচুর কারণ রয়েছে। মানবাধিকার নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার প্রচুর কারণ রয়েছে।’
তিনি বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে গণমাধ্যমে দেওয়া শহিদুল আলমের সব বক্তব্যের সঙ্গে একমত নই। এখানে যারা আছেন, তারাও সম্পূর্ণভাবে একমত নাও হতে পারেন। কিছু কিছু বক্তব্যের সঙ্গে আমরা একমত হতেও পারি। এই যে এখানে ঘটনাগুলো ঘটে গেলো,  একের পর এক, সেটা যদি মিলাই, তাহলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে এরকম হতে পারে না।’  
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘এই যে তাদের সন্তানের মতো ছেলেমেয়েরা রাস্তায় নেমেছিল, তাদেরকে কেন শিক্ষামন্ত্রী কিংবা এসব দায়িত্বে যারা আছেন, তারা কেন সময়মত গিয়ে যৌক্তিক একটা অবস্থায় ফেরত আনতে পারেন নাই? কেন এই বিষয়টা এতদূর পর্যন্ত গড়াতে দেওয়া হলো? আমি খুব বিচলিত বোধ করছি, নাহিদ ভাইয়ের মতো একজন মানুষ কিছুই করেন নাই। তার সঙ্গে আমরা ৬৯ এর গণআন্দোলন করেছি, মুক্তিযুদ্ধ করেছি। তিনি বললেন ‘এই ছাত্রদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না?’ তাদের অভিভাবকদের পর্যন্ত তিনি ধমক দিচ্ছেন। নাহিদ ভাইয়ের মুখে এই কথা মানায়? যদি নাহিদ ভাইরাই এ বিষয়গুলো করেন, তাহলে আমরা কার কাছে যাবো? তারা এমন অবস্থা করছেন যে কারও কাছে যাওয়ার আর সুযোগ রাখছেন না।’